দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিহার নির্বাচনের ফলাফলে বাংলা যোগ এখন প্রকাশ্যে। কলকাতার খিদিরপুরের ব্যবসায়ী আরজেডি’র টিকিটে জিতেছেন। এবার নীতিশ কুমারের মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জায়গা করে নিলেন রেণু দেবী। শুধু তাই নয়, তিনি বিহারের প্রথম মহিলা উপমুখ্যমন্ত্রীও। বিহারের শাসক-বিরোধী দুই শিবিরে বাংলা যোগ ক্রমেই বঙ্গ বিজেপির মনে আশার সঞ্চার করেছে।
সূত্রের খবর হাওড়ার জগাছার দুর্গাপ্রসাদের সাথে বিহারের বেতিয়ার রেণুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। বৈবাহিক সূত্রে তাই দীর্ঘদিন রেণু এই জগাছাতেই থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুর অনেক পরে তিনি বিহারে নিজের বাপের বাড়ি বেতিয়াতে ফিরে যান। তবে এখনও সপরিবার জগাছার সেই বাড়িতে আসেন রেণু। শেষবার এসেছিলেন দেশজুড়ে লকডাউন চালু হওয়ার ঠিক আগেই। সুতরাং বাংলার তাঁর যোগাযোগ আপনই। ভালো বাংলাও বলতে পারেন তিনি।
এবার সেই রেণু বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। তাই হাওড়ার ববনপ্রসাদ সিংয়ের পরিবারে খুশির আবহাওয়া। কারণ এখনো দুই পরিবারের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এখনও রেণুর শ্বশুরবাড়ি দেখভালের দায়িত্ব এই পরিবারের উপরেই। ববনপ্রসাদের ছেলে মণীশ কুমার জানান, তিনি রেণু দেবীকে ‘আন্টি’ বলে ডাকেন। আন্টি খুব ভাল মনের মানুষ। আমরা দুই পরিবার একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছি। তবে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খবর পেয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফোন করেছিলেন মণীশ। ববনপ্রসাদের পুত্রবধূ রিনা বলেন, ‘আন্টি বিহারের মহিলাদের জন্য ভাল কিছু করুন, এটাই চাই।’
ববনপ্রসাদ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রেণুর স্বামী দুর্গাপ্রসাদ ছিলেন একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ফিল্ড অফিসার। জগাছার এই বাড়িতেই তাঁদের সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের মাত্র ছয় বছরের মাথায় ১৯৭৯ সালে দুর্গাপ্রসাদ দুর্ঘটনাতে মারা যান। তারপর ওই অর্থলগ্নি সংস্থার ফিল্ড অফিরারের লাইসেন্স রেণু নিজের নামে ট্রান্সফার করে নেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ সাফল্য এল। ফীল্ড এজেন্ট থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী নি:সন্দেহে নেত্রী হওয়ার যোগ্য সম্মান তো বটেই।