দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ওড়িশা বিধানসভার আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সকল বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংবাদিক, নিরাপত্তা কর্মী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক হলো। বিধানসভার স্পিকার সূর্য নারায়ণ পাত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি বিশেষ কাউন্টারে বিধায়ক, কর্মচারী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা শুরু হয়।
এই প্রসঙ্গে পাত্র বলেন -“এই মাসের ২০ তারিখের মধ্যে হাউসের কাজ শুরু হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে শেষ হবে। আমরা সকল বিধায়ক, মন্ত্রী এবং সকল ব্যক্তির জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। বিধানসভা ভবনটি যথাযথভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। সকল বিধায়কই পরস্পরের থেকে চার ফুট দূরত্বে বসবেন।”
ভুবনেশ্বর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) একটি মেডিকেল টিম সহ সকল বিধায়ক, কর্মচারী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করবে। স্পিকার বলেন, যারা করোনাভাইরাসের জন্য নেতিবাচক পরীক্ষা করবে তারাই বিধানসভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।


যদি কোন বিধায়ক কোভিড-১৯ এর জন্য ইতিবাচক হন, তাহলে তাকে এই অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হবে না। গত বিধানসভার অধিবেশনে ১৫ জনের ও বেশী বিধায়কের কোভিড ধরা পড়েছিল, তাই তাদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এই পরীক্ষা প্রসঙ্গে বিজেডি বিধায়ক সৌম্য রঞ্জন পট্টনায়ক বলেন “কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ওড়িশা ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের আরোপিত সকল বিধিনিষেধের মাধ্যমে আইন ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। যদি আমরা এই অধিবেশন পরিচালনা না করি, তাহলে আমরা সংবিধানের অধীনে বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ব্যর্থ হব। তাই গত বিধানসভার অধিবেশনে যে সব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, আমরা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা নিরাপদে অধিবেশন পরিচালনা করতে সক্ষম হব।”
এই পরীক্ষা প্রসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক সান্তোস সিং সালুজা বলেন যে এটি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর একটি চমৎকার পদক্ষেপ। মারান্ডি বলেন “এটি শুধুমাত্র বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের জন্য নয়, জনগণের জন্যও একটি ভালো পদক্ষেপ। আমাদের কোভিড পুনরুদ্ধারের হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ভাল। আমার কোভিড-১৯ পরীক্ষাও হয়েছে।”