দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ ছাড়া এখনও বাজার জাত হয়নি কোনও করোনাভাইরাস টিকা। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেছে গোটা তিনেক কোম্পানী আর তারইমধ্যে টিকা কেনার জন্য টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর একটি রিপোর্টে একথা জানানো হয়েছে করোনা টিকার ডোজ কেনার তালিকায় বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে ভারত।
করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। কয়েকটি সম্ভাব্য টিকার প্রাথমিক ফলাফলও যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। সংস্থাগুলির থেকে টিকা কেনার জন্য ইতিমধ্যে চুক্তিও করে ফেলেছে বিভিন্ন দেশ। কোনও কোনও দেশ টিকার আরও ডোজ কেনার জন্য আলোচনাও চলছে বা পরিকল্পনা চালানো হচ্ছে। মার্কিন ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা তুলে ধরে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর প্রতিবেদেনে বিভিন্ন দেশের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। সেই গ্রাফ শেয়ার করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন।
ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে ছাপিয়ে করোনা টিকার ডোজ কেনার দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে আছে ভারত। ইতিমধ্যে ১৫০ কোটির বেশি করোনা টিকার ডোজ কেনার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত।
তবে ইতিমধ্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করোনা টিকার ডোজ এবং সম্ভাব্য চুক্তির ভিত্তিতে করোনা টিকার ডোজ কেনার নিরিখে তৃতীয় স্থানে আছে ভারত। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যে করোনা টিকার ১০০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তিতে সিলমোহর দিয়েছে আমেরিকা। একইসঙ্গে আরও ১০০ কোটির বেশি করোনা টিকার ডোজ কেনা হতে পারে। সবমিলিয়ে ২৫০ কোটির বেশি করোনা টিকার ডোজ কিনতে পারে আমেরিকা। তার অর্থ হল, নিজেদের পুরো জনসংখ্যাকে একবারের বেশি টিকা প্রদান করতে পারবে মার্কিন প্রশাসন।
একইভাবে চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া চুক্তি এবং সম্ভাব্য চুক্তির ভিত্তিতে করোনা টিকার ডোজ কেনার দৌড়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আপাতত তারা প্রায় ২০০ কোটি ডোজ কেনার পদক্ষেপ করছে। ইতিমধ্যে ১২০ কোটির ডোজের জন্য চুক্তি চূড়ান্তও হয়ে গিয়েছে। তবে ভারতের ১৫০ কোটি ডোজের পুরোটাই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।