দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আগামী বছরের জানুয়ারী থেকে ‘দেখো আপনা দেশ’ প্রকল্পের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। আর এই প্রকল্পে এবার পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি পর্যটন গন্তব্য। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার পর্যটনস্থল ওই তালিকায় রয়েছে। ‘দেখো আপনা দেশ’ প্রকল্প অনুযায়ী সপ্তাহের দু’দিন প্রতিটি এলাকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, খাবার, স্থানীয় ভাষাভাষী গোষ্ঠীকে নিয়ে অনুষ্ঠানের একটি পর্যটন প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উইকেন্ড গেটওয়েস’। ৩১ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তা শুরু হলেও উত্তরবঙ্গে চালু হচ্ছে নতুন বছরের ১৬ জানুয়ারি।
এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তরফে পূর্বাঞ্চল ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়া, পাহাড়ের ১২ মাইল, কাফের, তাকদা, রিম্বিক, বিজনবাড়ি, সোনাদা, মংপু এবং মিরিকের বংকুলুংকে বাছাই করা হয়েছে। একেবারে স্থানীয়স্তরের শিল্পীদের দিয়ে করানো হবে রবি ঠাকুরের গান থেকে ধিমাল নাচগান, শেরপা-নেওয়ার, গুরুং, তামাং, খাস বালুন ও সঙ্গিনী নাচের মত অনুষ্ঠান।
মূল এলাকার বাইরে পর্যটকদের ঘোরানো হবে লাভা, সিলারিগাঁও, চিলাপাতা, মাদারিহাট, বক্সা, জলদাপাড়া, কোচবিহার রাজবাড়ি, দুধিয়া, মিরিক, সিটং, লামাহাটা-সহ একাধিক এলাকা। প্রতিটি মূল এলাকাকে ধরে এক একটি প্যাকেজ এর উল্লেখ রয়েছে। এই প্যাকেজে সারাদিন বা দু’দিনের গন্তব্য বাছাই করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে বোলপুর শান্তিনিকেতন, পিংলা, বলরামপুর, সুন্দরবন, পাঁচমুড়ার মত এলাকা মিলিয়ে মোট ৮টি জেলা বাছাই করা হয়েছে।
তবে কেন্দ্রের এই অভিনব উদ্যোগের মধ্যে রাজনীতির ছোঁয়া দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, করোনায় পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখানে সরকারি কোনও প্যাকেজ ঘোষণা না করে এমন প্রচার কেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ”কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের লাল মাটির গ্রাম থেকে পাথুরে পাহাড়ি ছোট জনপদের জন্য কতটা ভাবে, এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে সেটারই প্রচার চলবে। রাজনীতি আর এলাকায় নিজেদের লোক তৈরি, ঢোকানো ছাড়া কিছু নয়।”
তিনি এও জানান যে , ওই এলাকায় পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নতি, প্যাকেজ নিয়ে এতদিন কেন্দ্র সরকার কিছুই করেনি। অন্যদিকে বিজেপির পাল্টা দাবি, কেন্দ্রের উন্নয়নে রাজনীতি দেখা তৃণমূলের গুপ্ত রোগ। তবে এই নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে রাজ্য পর্যটন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যের সব পর্যটনস্থলকে ঠিকমতোই দেশে-বিশ্বের আঙিনায় তুলে ধরা হচ্ছে।