দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: নিউ মার্কেট পরিষ্কার করার দায়িত্বে যে কর্মীরা রয়েছেন, তারা বলছেন যে, “লোকজনের কাছে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তারা একই ডাস্টবিনে শুকনো ও ভেজা আবর্জনা ফেলে দিচ্ছেন। পৌর যানবাহনে আলাদাভাবে আবর্জনা রাখতে বললে অনেকে ঝগড়া শুরু করেন। যদিও কর্পোরেশন ভেজা এবং শুকনো বর্জ্যের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছে। কর্মচারীরা আরোও জানিয়েছেন, কর্পোরেশন জরিমানা বাড়ানোর ফলে এখন লোকেরা যদি ভয় পায় তবে তারা সঠিকভাবে বর্জ্য নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হবে।”
গতবার, বর্জ্য নিষ্পত্তি না করায় পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে ভোপালের নাম নীচে এসে গিয়েছিল এবং মধ্যপ্রদেশের অন্য শহর, ইন্দোর, দৌড়ে এগিয়ে যায়। তবে এবার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল ভোপাল।মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালকে পরিষ্কার এবং সৌন্দর্যপূর্ণ করে তুলতে সেখানকার পৌর কর্পোরেশন এক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাদের দাবি, যেখানে যত পরিমাণ ময়লা ছড়ানো হবে সেখানে তাৎক্ষণিক জরিমানা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই জরিমানা দ্বিগুণ করেছে সেখানকার পৌরসভা।


যদি রাস্তায় ময়লা ফেলা হয়, তবে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পদক্ষেপের ফলে এখন অনেকটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের দিক থেকে উন্নত হয়েছে এই শহর। ভোপালের কর্পোরেশনের কমিশনার ভিএস চৌধুরী এই শহরকে পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।এর পর থেকেই শহরের সমস্ত জোন ইনচার্জ তাদের নিজস্ব দল গঠন করে ইতিমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এই দলটি ঘটনাস্হলে গিয়ে পরিচ্ছন্নতার মূল্যায়ন করছে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে যারা গাফিলত করছেন তাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ কঠোর ব্যবস্থাও নিচ্ছে।এই পদক্ষেপকে আরোও গ্রহনযোগ্য করার জন্য দফায় দফায় চালানো হচ্ছে প্রচার।
ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে যে,যদি কোন ব্যক্তি কোনো কঠিন বর্জ্য আলাদা না রাখার জন্য, একই ডাস্টবিনে ভেজা ও শুকনো বর্জ্য রাখার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা স্থির করা হয়েছে।এছাড়া খোলা জায়গায় আবর্জনা পোড়ানোর জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা রয়েছে। বড় বর্জ্য উৎপাদক দ্বারা আবর্জনা পোড়ানোর ক্ষেত্রে ১হাজার টাকার স্পট জরিমানা করা হবে। একই সময়ে, একই ডাস্টবিনে আবর্জনা জমা করার জন্য বড় বর্জ্য উৎপাদনকারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।