দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশের অধিকাংশ রাজ্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা পালন করলেও, ব্যাতিক্রম ছিল এই রাজ্য। আর সমস্ত বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে দীপাবলির মাত্রাছাড়া আনন্দের মাশুল গুনছে মহারাষ্ট্র। আবার হুহু করে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আর সে সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের পথেই যেতে পারে এই রাজ্য। আজ এমনটাই ইঙ্গিত মহারাষ্ট্রের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের।
তাঁর মতে, সরকার এই বিষয়ে আগামী আট দশ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে। আজ মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। ঠাকরে জানান, এবারের পরিস্থিতি সুনামির মতো। যা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুধু মহারাষ্ট্রেরই ২৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হতে পারে। তবে যতদিন ভ্যাকসিন নেই ততদিন একমাত্র ভরসা মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন ও ঘন ঘন সাবান জলে হাত ধোয়া।
এই পরিস্থিতির জন্য দীপাবলিতে মানুষের কাণ্ডজ্ঞানহীনতাকেই দায়ী করেন এই দুই মন্ত্রী। অজিত পাওয়ারের মতে, “দীপাবলির সময় রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন বহু মানুষ। মনে হচ্ছিল তারাই যেন করোনা হত্যা করবেন। গণেশ চতুর্থীতেও এই একই ঘটনা ঘটে। এখন আমরা দ্বিতীয় করোনা ঢেউয়ের প্রমাদ গুণছি। আমরা সমস্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী ৮-১০ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লকডাউন হবে কিনা।”
আপাতত ধর্মীয় স্থান থেকে পুণ্যার্থীরা যাতে দূরে থাকে সেটাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আর এই বিষয়ে আইনি অনুশাসনের বদলে মানুষের সংবেদনশীলতা ও দায়িত্বজ্ঞানের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছে মহারাষ্ট্র সরকার। এর পাশাপাশি এও খবর যে, দিল্লির সঙ্গে যাবতীয় ট্রেন ও বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবে মুম্বাই। অন্যদিকে কোভিড প্রটোকল মেনেই সোমবার থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসশুরু হচ্ছে। তবে স্কুলগুলি যাতে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতে মহারাষ্ট্র প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।