দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:চার হাজার কোটি টাকার আর্থিক লগ্নি সংস্থা আই মনিটারি অ্যাডভাইজরির (আইএমএ) দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্নাটকের প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী আর রোশন বেগকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রবিবার রাতে সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আইএমএ’র প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ মনসুর খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের লগ্নি করা অর্থ আত্মসাতের ক্ষেত্রেও বিশেষ সহযোগিতা করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী। নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
এদিন শিবাজীনগরের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ককে তলব করেছিল সিবিআই। আইএমএ আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষে গ্রেফতার করে তাঁকে বিশেষ আদালতে পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বছর জুলাই মাসে দুবাই থেকে ফেরার সময়েই আইএমএ’র কর্ণধার মহম্মদ মনসুর খানকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
কর্নাটকে কয়েক বছর আগে মোটা অঙ্কের সুদের লোভ দেখিয়ে নিজের সংস্থার অধীনে পঞ্জি স্কিম চালু করেন মহম্মদ মনসুর খান। সেই ফাঁদে পা দেন কয়েক হাজার বিনিয়োগকারী। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা পুলিশে অভিযোগ জানান। পাওনা না পাওয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়লে ২০১৮ সাল থেকে আইএমএ-র উপর নজরদারি শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য সংস্থা। তার মধ্যেই গত বছরের জুন মাসে আইএমএ’র কর্ণধার মনসুর আচমকা বিদেশে পাড়ি দিলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই বিনিয়োগকারীরা। তোলপাড় হয়ে যায় কর্নাটক।
ওই সময়েই একটি অডিয়ো রেকর্ডিং সামনে আসে। ওই অডিয়োতে আইএমএ’র কর্ণধার মনসুর খান দাবি করেন, নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালাতে বিভিন্ন আধিকারিককে ৪০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন। তার মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও শিবাজীনগরের কংগ্রেস বিধায়ক রোশন বেগও রয়েছেন। আর তার পরেই আইএমএ’র ব্যবসার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। শেষ পর্যন্ত ১৬ মাস বাদে এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।