দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিগত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মারাত্মক পরস্থিতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে দিল্লী। একদিকে যেমন করোনার সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই, অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যু’র রেকর্ড এ নাম ঢুকছে শয়ে শয়ে মানুষের। বিশেষ করে পুরোনো দিল্লী’র ঘন জনবহুল অঞ্চল এবং বাজার গুলিতে বেড়ে চলা যানজট ও দূষণের জন্যে করোনার সংক্রমণের হার লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। আর ‘কেজরিওয়ালের সরকারের’ প্রয়াস স্বত্বেও প্রতিদিন তিন ঘণ্টায় গড়ে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে!
দিল্লী’র সরকারী রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে এই নিয়ে টানা চতুর্থ দিন করোনার কারণে শতাধিক লোক মারা গেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে সময়ের মধ্যে ৪৪৫৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মূহুর্তে অবস্থা এমন যে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় চেষ্টা করছে দিল্লি সরকার। তবে করোনা কমার এখনও কোনও লক্ষনই সামনে আসেনি।
অন্যদিকে দিল্লীটে করোনা’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লির হাসপাতালগুলির শয্যা সংখ্যা। সেখানে সংক্রমিত মানুষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে হ্রাস পাচ্ছে বেড সংখ্যা। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করা রোগী বেড না পেয়ে বিনা চিকিত্সায় মারা যাচ্ছেন।
এই মূহুর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাস্ক না পড়লে ২০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন বিধি লঙ্ঘন করা, শারীরিক দূরত্ব না মানার ক্ষেত্রে এবং যত্রতত্র থুথু ফেলার জন্য ফাইন দিতে হবে ২০০০ টাকা। তবে এতেও যে সমস্যার সমাধান হচ্ছে তা নয়, বরং রেকর্ড এ বেড়ে যাচ্ছে মানুষের নাম।