দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মৌসম ভবনের রিজিয়োনাল ফোরকাস্টিং সেন্টারের প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘সফদরজং অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী ২০০৩ সালের (৬.১) পরে নভেম্বরে সর্বনিম্ন উষ্ণতা (৬.৩) আজই’। তিনি আরোও জানিয়েছেন, ‘লোধী রোডের আবহাওয়া কেন্দ্রে পারদ নেমেছে ৬.৪ ডিগ্রিতে। পশ্চিম হিমালয় থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বায়ুর প্রভাবেই এই পারদ পতন বলে মত শ্রীবাস্তবের।’
শীতের তান্ডব ক্রমশই বাড়ছে। সোমবার থেকেই বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে শৈত প্রবাহ। তবে আজ রাজধানীতে উষ্ণতা নামল ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম। মৌসম ভবন জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের পরে চলতি নভেম্বরের এই উষ্ণতা হল সর্বনিম্ন। রবিবার অর্থাৎ ২২তারিখ, সকাল বেলায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ চাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬.৯ এবং ২৪.২। মৌসম ভবন ঘোষনা করেছেন, শৈত্যপ্রবাহ হবে, সমতলের ক্ষেত্রে পর পর দু’দিন উষ্ণতা ১০ ডিগ্রি বা তার কম থাকলে এবং স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ ডিগ্রি কম উষ্ণতা।
তবে পারদ নামেছে লখনউয়েও। ২০১৭ সালের পরে চলতি বছরের নভেম্বরের সকালেই সব চেয়ে কম উষ্ণতার সাক্ষী থাকল লখনউ। লক্ষনউয়ের উষ্ণতা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একেই শীতের তান্ডব বাড়ছে। এবং সেই সঙ্গে অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত নিম্নচাপের জেরে আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘নিভা’ তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে তামিলনাড়ু, পুদুচেরির পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অংশ, রায়লসীমা এবং তেলঙ্গানায় এই ঝড় আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন। এবং দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে আজ থেকেই।
এদিকে তামিলনাড়ুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, ‘চেন্নাইয়ের দক্ষিণে ৭৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই নিম্নচাপটি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি (এনসিএমসি) জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় নিভার-এর পূর্বাভাসের ভিত্তিতে আপাতত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।’