দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: উত্সব ও ঠান্ডার মরসুম পড়তে না পড়তেই কয়েকটি রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েছে । এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নাইট কার্ফু জারি করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে নির্দেশিকা স্পষ্ট বলা আছে যে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে রাজ্য, জেলা, মহকুমা বা শহর এর কোনও স্তরেই ‘কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া’ লকডাউনের ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্যগুলি।
ইতিমধ্যে বুধবার দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নজরদারি, সংক্রমণ রোখার উপর। যা আগামী ১’লা ডিসেম্বর থেকে ৩১ ‘শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হবে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘নতুন নির্দেশিকার মূল লক্ষ্য হল, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখতে যে উল্লেখ্যজনক সাফল্য মিলেছে, তা আরও উন্নত করা। যা সম্পুর্ণ দেশ জুড়েই লাগাতার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।’
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কেন্দ্রের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা’র বিশেষ বিশেষ অংশ –
১) শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার কাজে ছাড় দেওয়া হবে কনটেনমেন্ট জোনে। সেখানে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ এবং পুরসভা সংক্রমণ রুখতে কঠোরভাবে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব নেবে। আর এই দ্বায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করবে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
২) কনটেনমেন্ট জোনে বিশেষ দল তৈরি করতে হবে যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবে।
৩) রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি পরিস্থিতির বিচার করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ জারি করতে পারে। যেমন – নাইট কার্ফু তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আগেভাগে আলোচনা ছাড়া স্থানীয়ভাবে কোনও ধরনের লকডাউনের (রাজ্য বা জেলা বা মহকুমা বা শহর) ঘোষণা করতে পারবে না।
৪) রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি করোনা সুরক্ষা বিধি পালনের জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যেমন কঠোরভাবে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া স্বচ্ছতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে হবে।
৫) রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি জনসমক্ষে বা কর্মস্থলে কেউ মাস্ক না পরলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। প্রয়োজনে বড় মাপের জরিমানা ধার্য করা যেতে পারে।
৬) সামাজিক দূরত্বের বিধি পালনের জন্য শীঘ্রই একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) জারি করবে কেন্দ্রীয স্বাস্থ্য মন্ত্রক যা বাজার, হাট, গণ পরিবহনের মতো ভিড়ের জায়গায় প্রযোজ্য হবে। আর এই SOP কে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কঠোরভাবে প্রণয়ন করতে হবে।