দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এবার দেশের সর্বত্র করোনা টিকার সংরক্ষণ ও যথাযথ সরবরাহের লক্ষ্যে লুক্সেমবার্গের সহায়তায় গুজরাটে বিশেষ রেফ্রিজারেটেড ভ্যাকসিন ট্র্যান্সপোর্টেশন কোল্ডস্টোরেজ খোলার উদ্যোগি এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। আর এই বিষয়ে লুক্সেমবর্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বিস্তারিত কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল সরঞ্জাম শিল্পে অন্যতম পথিকৃত লুক্সেমবার্গ এর এই বি মেডিক্যাল সিস্টেমস। বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের লক্ষ্যে মূল সংস্থা ইলেকট্রোলাক্স-কে WHO প্রস্তাব দেওয়ার পর ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সংস্থা। এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের রেফ্রিজরেটর ছাড়াও ব্লাড ব্যাঙ্ক ও প্লাজমা সংরক্ষণকারী রেফ্রিজারেটর তৈরিতেও সুনাম অর্জন করেছে বি মেডিক্যাল সিস্টেমস।
সূত্রের খবর অনুযায়ী দিল্লি ও আমদাবাদে সোলার ভ্যাকসিন রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও ট্র্যান্সপোর্ট বক্স-সহ অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন কোল্ড চেন তৈরির উদ্দেশে আগামী সপ্তাহেই গুজরাটে আসছেন লুক্সেমবর্গের বিশেষজ্ঞ দল। সম্পুর্ন কোল্ড স্টোরেজটি তৈরি করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যাবে বলে। সে কারণে লুক্সেমবর্গ থেকে আপাতত বিশেষ রেফ্রিজারেশন বক্স আমদানি করা হচ্ছে, এরপর বাকি সমস্ত সরঞ্জাম জোগাড় করা হবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের অন্তর্গত ঘরোয়া বাজার থেকেই।


লুক্সেমবার্গ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রেফ্রিজারেশন বক্সগুলির উষ্ণতা চার ডিগ্রি থেকে শূন্যের নীচে ২০ ডিগ্রি বা মাইনাস ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সরবারহ করতে সক্ষম। সূত্র জানিয়েছে ওই লুক্সেমবার্গের সংস্থার কাছে শূন্যের নীচে ৮০ ডিগ্রি বা মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহ করার প্রযুক্তি রয়েছে।
ইতিমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত সন্তোষ ঝা গুজরাতে প্রস্তাবিত কোল্ড স্টোরেজ তৈরির উদ্দেশ্যে গত ২০’শে নভেম্বর ওই সংস্থার সিইও-র সঙ্গে অনলাইন বৈঠক সারেন। এখনো অবধি যা খবর তাতে ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই ভারতে পৌঁছে যাবে সৌরশক্তি, কেরোসিন ও বিদ্যুতের সাহায্যে কাজ করা ওই রেফ্রিজারেশন বক্সগুলি। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে গুজরাতেই পুরোদস্তুর কারখানা গড়ে তুলবে লুক্সেমবার্গের বি মেডিক্যাল সিস্টেমস সংস্থা। জানা গিয়েছে গুজরাটের ওই কারখানা থেকে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারী সূত্রের দাবি, গত ১৯ শে’ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভারতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে কারখানা গড়ার প্রস্তাব দেন বেটেল নিজেই। ভারতের সুদূর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে যথাযথ ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা মাথায় রেখে প্রায় সাথে সাথেই সেই প্রস্তাবে সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী। আর মোদী’র সবুজ সংকেত পেতেই গুজরাট সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে লুক্সেমবার্গের সংস্থাটি।