দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশ জুড়ে বেড়ে চলা ‘অন্নদাতা’ কৃষক আন্দোলনের আবহে আজ সোমবার বারাণসী’র মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কৃষক আইনের সাহায্যে কৃষকদের একটি বৃহত্তর বাজারের বিকল্প দিয়ে ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে এবং “সংস্কার তাদের নতুন বিকল্প এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করেছে”। আজ ছয় লেনের ৭৩ কিলোমিটার বারাণসী-প্রয়াগরাজ জাতীয় সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, এই হাইওয়ে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করবে ফলে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “একজন কৃষকের সরাসরি বিক্রেতার কাছে তার পণ্য বিক্রি করার স্বাধীনতা পাওয়া উচিত নয় কী? যখন একটি অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়, তখন সেখানকার কৃষকরাও উপকৃত হয়। কৃষকদের একটি বৃহত্তর বাজারের জন্য বিকল্প প্রদান করে ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে। কৃষকদের স্বার্থে সংস্কার করা হচ্ছে, যা তাদের আরো বিকল্প দেবে।”
আজ প্রধানমন্ত্রীর সাথে ওই একি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, যিনি ব্যক্তিগতভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন ও তত্ত্বাবধান করেছেন। আজ কৃষকদের নতুন খামার আইন নিয়ে ‘বিভ্রান্ত’ করার জন্য বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “সরকারের আগের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছিল, এখন গুজব বিরোধীদের ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ে যে যদিও সিদ্ধান্ত সঠিক, এটা অন্যান্য ফলাফলের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা ঘটেনি বা কখনও ঘটবে না।”
দেশজুড়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) কর্মসূচির আওতায় গম ও ধান ক্রয় বন্ধ করার জন্য কৃষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বিষয় টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, স্বামীনাথন কমিশন অনুযায়ী কৃষকদের দেড় গুণ বেশি এমএসপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন “এই প্রতিশ্রুতি শুধু কাগজে ই পূরণ করা হয়নি, কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছেছে। আগে, ঋণ মকুব প্যাকেজ ঘোষণা করা হত কিন্তু এই ধরনের প্রকল্পের সুবিধা কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে ব্যবহৃত হত না।”
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পরিদর্শন করেন এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডোর প্রকল্পও পরিদর্শন করেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গঙ্গাঘাটে দীপোৎসব উদযাপনে অংশগ্রহণ করবেন। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী দেব দীপাবলিতে যোগ দেবেন, যা দীপাবলির ১৫ তম দিনে উদযাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজঘাটে প্রথম দিয়া জ্বালাবেন। ১৫ লক্ষেরও বেশি দিয়া প্রজ্জ্বলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা গত বছরের ১০ লক্ষ থেকে বেড়ে ১৫ লক্ষ হয়েছে এবং সেই সাথে ৮০টি ঘাট জুড়ে প্রদীপ জ্বেলে আলোকিত করা হবে।