দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এই প্রথম কোনো ভারতীয় রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃত করার অভিযোগআনলো টুইটার। বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর পোস্ট করা একটি ভিডিয়োকে ‘ম্যানুপুলেটেড মিডিয়া’ বা ‘বিকৃত’ বলে তকমা দিয়েছে। উল্লেখ্য,কৃষি আইন নিয়ে চলা কৃষক আন্দোলনের একটি প্রতিবাদের ভিডিও বিকৃত করেছেন অমিত মালব্য।
টুইটার তখন ই কোনো পোস্টকে ‘ম্যানুপুলেটেড মিডিয়া’ স্বীকৃতি দেয় যখন সত্যকে লুকোনোর জন্য কোনো ভিডিওকে নিজেদের মত করে এডিট করে পোস্ট করা হয়। আর সেক্ষেত্রে বিষয়টিকে ফেকনিউজ বা ফেকটুইট হিসেবে ইউজারদের জানানোর ‘পলিসি’ রয়েছে টুইটারের। গত দু একদিন আগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী একটি কৃষক বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে দেখা গিয়েছে পুলিশ এক বিক্ষোভরত প্রবীণ কৃষককে লাঠি উঁচিয়ে মারতে যাচ্ছে।
রাহুল গান্ধীর সেই ছবির পাল্টা মালব্য একটি ভিডিয়ো ক্লিপ টুইটারে পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীটি ওই কৃষককে মারছেন না। স্বাভাবিকভাবে মালব্য ভিডিয়োটি পোস্ট করতেই বিভিন্ন মিডিয়ার ফ্যাক্ট চেকিং দল এর ঘটনাটির সত্য অনুসন্ধান শুরু করে। আর সেই সত্য অনুসন্ধান করে প্রকাশ্যে আনা হয় রাহুল গান্ধীর সেই ছবির সমর্থনের পুরো ভিডিয়োটি। ওই ভিডিওতে স্পষ্ট প্রকাশিত, পুলিশকর্মীটি ওই বৃদ্ধকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছেন। আর এই ভিডিয়োটি ‘জেনুইন’।
এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে দিল্লিতে চলা কৃষক আন্দোলনে বিক্ষোভরত অন্যান্য কৃষকদেরও মারছিলেন দুই নিরাপত্তা রক্ষী। তবে অমিত মালব্য সেই ভিডিও’র মধ্যখানের একটি অংশ বাদ দিয়ে পোস্ট করেছেন। আর সেই বাদ দেওয়া অংশে বৃদ্ধকে মারার ফুটেজ নেই। অর্থাত্ বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনভাবেই বলপ্রয়োগ করেনি, এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন মালব্য!


তবে এই ভাবে তথ্য বিকৃত করা অভিযোগ বিশ্বে নতুন নয়। এর আগে, আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প-সহ একাধিক রাজনীতিবিদের টুইটকে আপত্তিজনক হিসেবে ফ্ল্যাগ করেছে টুইটার। এ বার সে ঘটনা প্রথম ঘটলো ভারতে। এমনিতেই বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই মালব্যর আচরণে ক্ষুব্ধ। এবার এই টুইটারের ‘ফ্ল্যাগ’ করার বিষয়টা যে কেন্দ্রের শাসক দলকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলল সে কথা বলাই বাহুল্য।