দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ সর্বপ্রথম অনুমোদিত করোনা ভ্যাক্সিন হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিন তৈরি করল ইতিহাস। সর্বপ্রথম ব্রিটেনে এই ভ্যাকসিনকে গণ টিকাকরণে ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে এখনো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্বজুড়েই অব্যহত ট্রায়াল ও গবেষণা। আমাদের ভারতেও চলছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। তবে ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও তা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের পৌঁছে দেওয়ার কাজ খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ নিয়ন্ত্রিত তামপাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে ও তা সরবরাহ করতে হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার এই সমস্যার সমাধানে ভারতীয় বিমানসংস্থা স্পাইসজেটের কার্গো সংস্থা স্পাইসএক্সপ্রেস এগিয়ে এলো। তারা জানিয়েছে সারা দেশে ভ্যাকসিন বিতরণে লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তাদের সংস্থা প্রস্তুত।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পাইসএক্সপ্রেস বলেছে যে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে তাপমাত্রা সংবেদনশীলতার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য, দ্রুত এবং সুরক্ষিত লজিস্টিক পার্টনার কে খোঁজা হচ্ছে। যারা কোল্ড চেইনের গুরুত্ব বোঝে। সংস্থাটি বলেছে যে তারা ‘স্পাইস ফার্মা প্রো’ নামে একটি পরিষেবা নিয়ে এসেছে যা ভ্যাকসিনের বিরামবিহীন পরিবহনের জন্য উপযোগী ও বিশেষ সহায়ক।


এই প্রসঙ্গে স্পাইসজেটের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিং জানিয়েছেন যে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে স্পাইসজেট এবং স্পাইসএক্সপ্রেস সারা দেশে ও বিশ্বজুড়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও চিকিত্সা সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন “আমরা ক্রমাগত উদ্ভাবন করেছি, যাত্রীবাহী বিমানকে পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হয়েছে, সিটে মাল বহন করা হয়েছ। আমরা ওষুধ, ভ্যাকসিন, রক্তের নমুনা এবং তাপমাত্রা-সংবেদনশীল কার্গো পরিবহনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে গত মার্চ মাস থেকে স্পাইসজেট ৮৫ হাজার টন পণ্য পরিবহন করেছে,সেই সাথে লকডাউন চলাকালীন প্রয়োজনীয় ও চিকিত্সা সরবরাহ পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। অজয় সিং বলেন, “আমরা এখন বিশ্বব্যাপী অন্য সংস্থাদের কাছে সীমাহীন কোল্ড চেইন অপারেশনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছি এবং আমি জানাচ্ছি যে স্পাইসএক্সপ্রেস নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা (-৪০ ডিগ্রি-২৫ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড) পর্যন্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল ওষুধ এবং ভ্যাকসিন পরিবহনের ক্ষমতা রাখে।” তিনি যোগ করেন, “স্পাইএক্সপ্রেস করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সংবেদনশীল পণ্য সরাবরাহের বিশাল কাজের জন্য প্রস্তুত।”