দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বছরশেষে বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। যদিও দুদিন আগে তেল সংস্থাগুলি জানিয়েছিল ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত থাকবে ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম। কিন্তু আচমকা বুধবার থেকে বেরে গেল সেই ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের দামও।
মঙ্গলবার মাঝরাতে তেল সংস্থাগুলি তাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের এই খবর জানান। দামবৃদ্ধির এই আচমকা সিদ্ধান্ত ও মাঝরাতে নোটিশ আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। কলকাতায় ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম একলাফে বেড়েছে ৫০ টাকা, তার নতুন দাম এখন ৬৭০.৫০ টাকা। বিভিন্ন মহলে যে প্রশ্নটা সবথেকে বেশি উঠছে তা হল এই দাম বৃদ্ধির সঙ্গে ভোট-রাজনীতির কোনো যোগাযোগ আছে কিনা।
অবশ্য শীতকালে এলপিজির চাহিদা বাড়ায় বিশ্ব বাজারে রান্নার গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু দিন ধরে। আগে দেশে এই দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উঠলেও তা বাড়তে দেওয়া হয়নি। তার খেসারতে একেবারে ৫০টাকা দাম বাড়ল এই মতামত দিচ্ছে বিশিষ্টমহল। তবে কূটনীতিকদের মতে বিগত তিনমাসে দাম না বাড়ানোর পেছনে বিহার-কাশ্মীরের ভোট জড়িয়ে আছে। সেই জন্য মাসের শেষে যেখানে দামবৃদ্দির নোটিশ আসে সেখানে তা হল মাস শুরুর পরে।
বিগত দেড় বছরে কেন্দ্র রান্নার গ্যাসের দাম ধাপে ধাপে এই পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে যে সেখানে ভর্তুকি পাওয়া যাচ্ছেনা। সেই মোদী সরকার পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম হ্রাসের অ্যাজেন্ডা নিয়ে ভোটে নেমেছিল তাকে এখন এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই বছরের জুলাইয়ে ভর্তুকিযুক্ত গ্যাসের দাম যেখানে ছিল ৪৯৪.৩৫ টাকা তা এখন বেড়ে হয়েছে ৫৯৪ টাকা। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোয় সরকারের প্রায় ২২ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। লকডাউনের পরে মোদী সরকার গরিব আট কোটি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখনো পরিসংখ্যান বলছে ১৮ কোটি পরিবার রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত। কেন্দ্র কেন ভর্তুকি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের সুরাহা করছেন না সেই নিয়ে বিরোধীরা এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই একলাফে ৫০টাকা দাম বাড়ানোয় তারা আরো একটি সুযোগ পেয়ে গেল।