দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেণ্ট এ প্রথম মহিলা জিএম এর অনন্য সম্মান পেলেন বাঙালি নারী শ্যামলী হালদার। প্রায় ৩৪ হাজার ফুট উপরে ভেসে বেড়ানো পাইলট কে সঠিক রাস্তা দেখান যে গাইড। যিনি মাউথপিস লাগানো হেডফোন নিয়ে বিমানবন্দরের কন্ট্রোলরুমে বসে থাকেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) অফিসার হিসেবে। যাঁর এক মুহূর্তে মনিটর থেকে চোখ সরানোর জো নেই। মুহূর্তের মধ্যেই নিতে হয় সঠিক সিদ্ধান্ত। যাঁর একচুল হিসেবের ভুলে ঘটে যেতে পারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এরকমই এক গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টের জেনারেল ম্যানেজর পদে এবার এক বাঙালি মহিলা।
ভারতীয় আকাশপথ সামলানোর বিষয়ে পুরুষদের একাধিপত্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ধীরে ধীরে সমগ্র দেশ ও বিশ্ব জুড়েই এখন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তিত হচ্ছে। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া এবার ভারতের আকাশ পরিবহন নিয়ন্ত্রণেও। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই গুরু দায়িত্ব পেলেন।


বিগত ত্রিশ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমে কাজ করছেন বাঙালি কন্যা শ্যামলী হালদার। গত মঙ্গলবার এই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের শীর্ষ পদ পেয়েছেন শ্যামলী। এখন তাঁর বয়স ৫৬ বছর। জীবনপঞ্জী অনুযায়ী বাবার চাকরি সূত্রে তাঁর জন্ম, কর্ম, পড়াশোনা মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (AOI) অ্যারোড্রোম অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। এবার তাঁর কাঁধে সর্বোচ্চ দ্বায়িত্ব।
এই মূহুর্তে সমগ্র দেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পূর্ব ভারতের আকাশসীমা সবথেকে বড় অংশ আকাশপথ পরিবহনের। যেমন পূর্বে মায়ানমার, পশ্চিমে প্রায় নাগপুর, উত্তরে বারাণসী উত্তর-পশ্চিমে গুয়াহাটি, দক্ষিণে হায়দরাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত পূর্ব ভারতের আকাশসীমায়। ফলত: এই সবকটি উড়ান সামলানোর গুরু দায়িত্ব এখন মাননীয়া শ্যামলী হালদারের কাঁধেই। আর তিনি যেহেতু কাজ করবেন কলকাতা বিমানবন্দরের অফিস থেকে ফলে কলকাতা বিমান বন্দরের সাফল্যের টুপিতে এটাও একটা নতুন পালক।