দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গত কাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার নিউ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে টানা সাত ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে কেন্দ্র-কৃষকদের। তবুও কাটলো না জট মিলল না কোন রফাসূত্র। সূত্রের খবর কেন্দ্র নতুন কৃষি আইন সংশোধনে রাজি। তবুও কৃষকরা তাঁদের দাবিতে অনড়। জানা গিয়েছে আগামী সাত তারিখ অর্থাত্ ফের শনিবার বৈঠকে বসছে দু’পক্ষ। এই নতুন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
তবে শনিবারের নতুন বৈঠকের আগে শুক্রবার ফের একবার, সিংঘু সীমান্তে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসলেন ৪০ জন কৃষক নেতা। আজ তাঁরা ঠিক করবেন আগামী কালের নীতি ও কৌশল। আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি একটাই, এই নতুন বলবত্ হওয়া কৃষক আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এই নতুন আইয়ন নিয়ে কৃষকদের শঙ্কা, এর জেরে পাঞ্জাবে যে কৃষি মাণ্ডি রয়েছে, তা দুর্বল হয়ে পড়বে। তার জায়গায় মাথা তুলে দাঁড়াবে বেসরকারি মাণ্ডি। সেখানে কৃষকদের খুব বেশি কিছু করণীয় থাকবে না। দরদামেরও জায়গা থাকবে না।
আজ অষ্টম দিনে পা রাখা এই কৃষকদের বিক্ষোভে গাজীপুর সীমান্তে এনএইচ-২৪ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার রাস্তা স্তব্ধ। দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ তাদের টুইটারে সেই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি টিকরি, ঝারোদা সীমান্তও বন্ধ। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে মহারাষ্ট্রের নাসিকেও নতুন করে প্রতিবাদ শুরু করলেন কৃষকরা।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ঘোষণা করেছিলেন যে আগামী কাল অর্থাত্ আজ থেকে রাজ্যে নতুন কৃষি আইনের বিরোধীতা করে আন্দোলন জোরদার করা হবে। এই বিষয়ে আজ তৃণমূল ভবনে সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান আজ অর্থাত্ ৪’ঠা ডিসেম্বর, সিঙ্গুর আন্দোলনের ১৪ বছর পূর্তি হল। তিনি আজ দাবি করেন যে নতুন কৃষি আইনে সংবিধান বিরুদ্ধ। এর ফলে দেশে নতুন করে অনাহার দেখা দেবে। সেই সাথে সিঙ্গুরের কৃষকদের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে দলনেত্রী কিভাবে লড়াই করেছিলেন আর কিভাবে তত্কালীন বাম সরকারের পুলিশ টা নির্মমভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল, সেই খতিয়ানও তিনি আজ তুলে ধরেন।