দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ সর্বদল বৈঠকে নিরাশ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ তিনি ঘোষণা করলেন যে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে চলে আসবে এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন। চুড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে থাকা টিকা গুলিকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা সবুজ সংকেত দিলেই শুরু হয়ে যাবে টিকার বন্টন ও গণ টিকাকরণ ও।
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে আমন্ত্রণ জানানো হয় সব বড় দলের রাজ্যসভা এবং লোকসভার দলনেতাদের। কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন গুলাম নবি আজাদ এবং অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের টি আর বালু, জেডিএসের এইচ ডি দেবেগৌড়া, এনসিপির শরদ পাওয়ার, টিআরএসের নম নাগেশ্বর রাও, শিবসেনার বিনায়ক রাউত উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। সব দলের প্রতিনিধিরা এদিন বৈঠকে বলার সুযোগ পাননি। তবে, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে নিজেদের বক্তব্য লিখিত আকারে পেশ করতে অনুরোধ করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধন ছাড়াও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ছাড়াও অর্জুন রাম মেঘাওয়াল ও ভি মুরলিধরন।
বৈঠক শেষ মোদি ঘোষণা করেন, ‘”এই মুহূর্তে ভারতে অন্তত আটটি করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়াল বিভিন্ন স্তরে আছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টিকা সরকারের হাতে চলে আসবে। বিজ্ঞানীরা সবুজ সংকেত দিলেই শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ। স্বাস্থ্যকর্মী, করোনাযোদ্ধা, বয়স্ক মানুষ এবং ক্রনিক রোগ আছে, এমন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। আমাদের বিজ্ঞানীরা সফলভাবে টিকা তৈরির ব্যপারে অত্যন্ত আশাবাদী। গোটা পৃথিবী আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সস্তা এবং উপযোগী টিকার আশায়।”
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী যে, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের সম্মিলিত প্রয়াসে টিকাকরণে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁর দাবি, “ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় টিকাকরণের ক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞ। এবং সেটা আমাদের কাজে লাগবে। কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে কথা বলছে, এবং এক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।”
সেইসাথে আজ তিনি সকল বিরোধী দলগুলোর প্রতি এই আবেদন ও রাখেন যে এই বৈশ্বিক মহামারি ঠেকানোর জন্যে সকল কে রাজনীতি ভুলে এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন আগামী জানুয়ারী মাসেই অনুমোদন পেতে পারে যার প্রথমটি কোভিশিল্ড (অক্সফোর্ড ও আসট্রাজেনেকা), কোভ্যাক্সিন (ভারত বায়োটেক ও ICMR) এবং তৃতীয়টি হলো জাইকোভ ডি (জাইডাস ও ক্যাডিলা)।