দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ৪’ঠা ডিসেম্বর ভারতীয় নৌসেনার জন্যে এক গর্বের দিন। আর এই দিনটি’র সূচনা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালে। সে সময়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এক ভয়াবহ রূপ নেয়। আর সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচী বন্দরে এই ৪’ঠা ডিসেম্বর ও ৫’ই ডিসেম্বর মাঝরাতে অপারেশন ট্রাইডেন্ট নামে একটি নৌ-হামলা চালিয়েছিল ভারত।


সেই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ভারতীয় নৌসেনার আক্রমণে পাকিস্তানের চারটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পিএনএস খাইবার, পিএনএস ঢাকা। মৃত্যু হয়েছিল ৫০০ জন পাক সেনার। এই অভিযানে প্রথমবার একটি অ্যান্টিশিপ মিসাইলও ব্যবহার করা হয়েছিল। আর সেদিন সেই আক্রমণের সাফল্যে পাকিস্তানের জলসীমায় দাঁড়িয়ে ভারতের বিজয়ধ্বজা শত্রু পক্ষের মনোবল একদম তলানিতে পৌঁছে দিয়েছিল।


নৌসেনার সেই ঐতিহাসিক সাফল্যকে উদযাপন করার জন্যেই প্রতি বছর ৪’ঠা ডিসেম্বর ভারতীয় নৌসেনা দিবস পালিত হয় । উল্লেখ্য, অপারেশন ট্রাইডেন্টের তিন দিন পর অপারেশন পাইথন নামে আর একটি নৌআক্রমণ চালিয়েছিল ভারত আর এই দুই আক্রমণেই পাকিস্তানের জরিজুরি খতম করে দিয়েছিলো ভারতীয় নৌসেনা।
আরও পড়ুন: জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহেই অনুমোদিত করোনার টিকা? আভাস প্রধানমন্ত্রী’র
আজ দিনটিকে স্মরণ করে দেশের নৌসেনা ব্যারাক ও নৌবহরে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় সেনার নৌবিভাগ। জনহিতকর কার্যকলাপ ও নানান ইভেন্টের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা হয়। সাধারণ মানুষকে উত্সাহিত করার পাশাপাশি দেশপ্রেমেও উজ্জীবিত করা হয়। অনেক নৌসেনা আধিকারিককে তাঁদের বীরত্ব ও সাহসিক অসামান্য অবদানের জন্যে মেডেল দিয়ে সম্মানিতও করা হয়।
তবে এ বার করোনা-আবহে অনুষ্ঠান আয়োজনের ধরন ও পরিকল্পনা বদলেছে। এ বারের থিম: ভারতীয় নৌসেনা দেশসেবায় সর্বদা প্রস্তুত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভার্চুয়ালি সম্পন্ন হয়েছে সব। একাধিক আকর্ষণীয় ভার্চুয়াল ইভেন্ট হয়েছে। আইএনএস বিক্রমাদিত্যের ৩৬০ ডিগ্রি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ট্যুর এর পাশাপাশি স্মার্টফোনের মাধ্যমে আইএনএস বিক্রমাদিত্যের একাধিক এলাকার খুঁটিনাটি পরিদর্শন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। যুদ্ধজাহাজগুলিকে বিশদে জানানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আর এ সব বিষয়ের বর্ণনা করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিকরা।