দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এই সপ্তাহেই ব্রিটেন ও বাহরাইনে অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার-বায়নটেকের বিশ্বের প্রথম অনুমোদিত করোনা টিকা। এবার ভারতে তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন বাজারে বিক্রির জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের (ডিজিসিআই) অনুমতি চেয়ে আবেদন জানাল ফাইজার ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, গত ৪ ডিসেম্বর নতুন ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আইন ( ২০১৯) অনুযায়ী ভারতে তাদের কোভিড টিকা আমদানি, সরবরাহ ও বিক্রির অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে মার্কিন কোম্পানী ফাইজার।
ব্রিটেন গত বুধবার ফাইজার ও বায়োনটেক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন জরুরি অবস্থায় বিক্রির উদ্দেশে সাময়িক ভাবে অনুমোদন দেয়। এই মূহুর্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ৯৫% সাফল্যের দাবি করেছে ফাইজার। আর ব্রিটেনের মেডিসিনস অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি ওই টিকাকে ব্যবহারের জন্য নিরাপদও ঘোষণা করে।
ব্রিটেনের পর বাহরিন সরকারও শুক্রবার ফাইজারের দুই ডোজের কোভিড টিকা বিক্রির অনুমতি দেয়। এই দুই দেশের পাশাপাশি আমেরিকাতেও তাদের টিকা বিক্রির অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ফাইজার। ফাইজারের তৈরি এই কোভিড টিকার একটা বড় সমস্যা, এটি রাখতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। আর এই ধরণের তাপমাত্রা ভারতের ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলে ব্যবস্থা করা এক কথায় এই মূহুর্তে অসম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দপ্তর।
প্রসঙ্গত, এই মূহুর্তে ভারতে মোট ৫টি কোভিড ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলেছে। এর মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকার ট্রায়াল পরিচালনা করছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেক সংস্থার ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’। আর গুজরাটের জাইডাস ক্যাডিলা সংস্থার ‘জায়কভ ডি’ টিকা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল অনুমোদন পেয়েছে।
এদিকে দুই ডোজের ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা নেওয়ার পরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী অনিল ভিজ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন! যদিও এই প্রসঙ্গে আইসিএমআর জানিয়েছে যে এই টিকা’র দুটি ডোজ’ এর তাই ২৮ দিন পর দুটি ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন বাদেই বোঝা যাবে যে এই টিকা কতটা সহায়ক!