দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্রিটেন ও বাহরিন জরুরী ভিত্তিক প্রয়োগ করবে। আর সেই জন্যে ও ভ্যাকসিন ভারতের খোলা বাজারে বিক্রির জন্যে অনুমোদনের আবেদন ও করেছে ফাইজার। তবে এবার সেই টিকার পাশাপাশি এবার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে আবেদন জানাল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)।
সূত্রের খবর, মহামারী রুখতে ও বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি সেই ‘টিকা’র অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এটি এখনো সম্ভাব্য টিকা কারণ এটি এখনো চুড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে যা যৌথভাবে তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ড। এই টিকার উৎপাদন করেছে ভারতীয় কোম্পানী সেরাম।
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই কোভিশিল্ড টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে সেরাম। পাশে রয়েছ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। আইসিএমআর গতমাসেই জানিয়েছিল, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল দেখে তবেই জরুরি ভিত্তিতে কোভিশিল্ড ব্যবহারের আবেদন জানানো হবে। তবে আইসিএমআরের সূত্রানুযায়ী, অনুমোদন পাওয়ার আগেই সেরাম এই করোনা টিকার চার কোটি ডোজ তৈরি ফেলেছে।
আরও পড়ুন: এবার মৃত্যুর ফরমান নিয়ে হাজির বলিভিয়ার ‘ছাপারে ভাইরাস’
সূত্র জানিয়েছে যে, সেরামের এই আবেদনে মোট চারটি ক্নিনিকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি ব্রিটেনের এবং দুটি পরীক্ষার প্রথমটি ভারত এবং পরেরটি ব্রাজিলের। ওই ফলাফলে দৃশ্যমান এই যে উপসর্গযুক্ত এবং গুরুতর করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। যেহেতু ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, তাই কোভিশিল্ডের টিকাকরণের ফলে মৃত্যু হার এবং অসুস্থতা কমবে।
সেরামের আবেদনে বলা হয়েছে কোভিশিল্ড সুরক্ষিত এবং সহনশীল টিকা যা কার্যকরীভাবে করোনা রুখতে জনগণের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে। পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরি কৌশলিতে সেরাম এই টিকার ১২ টি ব্যাচ জমা দিয়েছে। এই টিকা দেশের শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় বণ্টনের ক্ষেত্রেও উপযুক্ত। কারণ মাত্র দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসেই সেই টিকা সংরক্ষণ করা যায়।