দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ক্রমেই উত্তরের কৃষি আন্দোলন একটি গণ আন্দোলনের রূপ নিচ্ছে। একে একে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ যেমন অভিনেতা থেকে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, এখন আর কেউ বাদ নেই। প্রতিদিনই কলেবরে বাড়ছে কৃষক আন্দোলন। বিদেশেও আন্দোলনের ঢেউ। একের পর এক বৈঠকেও গলছে না বরফ। ‘মৌনব্রত’ আঁকড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রশ্নের জবাব শুধু হ্যাঁ বা না এ জানাচ্ছেন কৃষকরা এমত পরিস্থিতিতে সংশোধন কিছুতেই মানতে নারাজ কৃষকরা। তাঁরা চাইছেন এই আইনের প্রত্যাহার। যদিও আইন সংস্কার করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্যা নেই, তবুও ঝুলে রয়েছে বিষয়টি।
তবে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “আমরা কৃষকদের সম্মান করি। তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকার তলায় আশ্রয় না নিয়ে যেভাবে নিজেরা প্রতিবাদ করছেন তা তারিফ করার মত। কিন্তু তবুও কিছু রাজনৈতিক দল যে ভাবে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে, তা নিন্দনীয়। এঁদের মানুষ বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। লোকসভা, বিধানসভা, পুরোনিগমের ভোটেও এঁরা জেতে না। আজ নরেন্দ্র মোদির সরকার কৃষি আইন নিয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইউপিএ জমানায় ২০১৩ সালে রাহুল গান্ধির কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টো একই কথা বলেছিল। এনসিপির শরদ পাওয়ার যখন কৃষি মন্ত্রী ছিলেন তখন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে তিনি কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আজ তাঁরা পাল্টি খেয়েছেন। আসলে যে কোনওভাবে এই সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলা এঁদের লক্ষ্য। কৃষকদের ভাল এঁরা কেউই চান না। যে যাঁর রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই মাঠে নেমেছে।”
আরও পড়ুন: কোভিড নয় এক নতুন রোগের কোপে ৩০০ জন অসুস্থ! চরম আতঙ্কে রাজ্য সরকার
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে আজ সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সিংঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকদের সাথে দেখা করেন। সে প্রসঙ্গে রবিশঙ্করের অভিযোগ “এর আগে কেজরিওয়াল ও নতুন কৃষি আইন এনেছে, বিজ্ঞাপন দিয়ে সেটা জানানো হয়েছে বিভিন্ন কাগজে। আর এখানে এসে বিরোধিতা করছেন। এঁদের দু’মুখো নীতি। আমরা দেশের উন্নতি চাই। আর সেটা কৃষকদের উন্নতি ছাড়া সেটা সম্ভব নয়।”