দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ গত ২৬ নভেম্বর ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিল ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনগুলি। যার ফলে দেশজুড়ে প্রবলভাবে ধাক্কা খেয়েছিল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। সেই ধর্মঘটের দু সপ্তাহের মাথায় ফের কাজের দিনে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা অচল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনগুলি। সেই ধর্মঘটকে সমর্থন জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শ্রমিক শাখা ‘ভারতীয় মজদুর সংঘ’ ছাড়া প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশন। এদিকে কৃষকদের ডাকা ধর্মঘটের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনগুলি। তবে কি মঙ্গলবার ব্যাঙ্কের স্বাভাবিক কাজে থমকে পড়বে?
এই প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তর দেননি বাম প্রভাবিত সংগঠন ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া-র (BEFI) নেতা জয়দেব দাশগুপ্ত। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “কৃষক ও ক্ষেতমজদুর ডাকা ভারত বনধকে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। বনধের সমর্থনে যদি কাল পিকেটিং হয় স্বাভাবিকভাবে তখন কেউ ব্যাঙ্কে ঢুকতে পারবেন না।”
যদিও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে আগামী কাল বাংলাতেও সমস্ত জায়গায় ধর্মঘট সমর্থন করবে বামদল গুলি। ব্যাঙ্ক কর্মীরাও এই ধর্মঘটে সামিল হতে চলেছেন বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন এই বাম দলনেতা। আগামী কালের ভারত বনধে সমর্থনে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে সিটু, এআইটিউসি, আইএনটিইউসি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মচারী ফেডারেশন এবং অন্যান্য গণ সংগঠন। তারা জানিয়েছেন যে, “গত ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে যে ৭ দফা দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট দেশব্যাপী সফলভাবে পালিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল এই জনবিরোধী ও কৃষক বিরোধী সংশোধীত কৃষি আইনগুলি বাতিল এবং শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী শ্রম আইনগুলি বাতিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা গ্রাহ্য করেনি। একইভাবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের দাবি মেনে কৃষক বিরোধী কৃষক আইনগুলি বাতিল না করায় কেন্দ্রীয় কৃষক সংগঠনগুলির সর্বভারতীয় মঞ্চের ডাকা ভারত বনধকে রাজ্যের শ্রমিক সংগঠনগুলি, শিল্প ভিত্তিক ফেডারেশনসমূহ (ব্যাঙ্ক, বিমা, প্রতিরক্ষা, বিএসএনএল, রেল), ১২ই জুলাই কমিটি-সহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সফল করতে শ্রমিক শ্রেণি ও সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। ওই দিন রাজ্যের সমস্ত শিল্প ক্ষেত্র কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থনে সাধারণ ধর্মঘটের জন্য বন্ধ থাকবে।” তবে পানীয় জল, অগ্নি নির্বাপণ পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ সমস্ত জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্র ধর্মঘটের আওতার বাইরে থাকবে বলেও ওই প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে।