দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ফাইজার এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) পর হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক ভারত বায়োটেক সোমবার কোভাক্সিনের জন্য জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে একটি আবেদন দাখিল করেছে, যা ভারতে এই ধরনের নিয়ন্ত্রক অনুমোদন চাওয়া তৃতীয় কোম্পানি। যদি অনুমোদন মেলে তাহলে কোভাক্সিন প্রথম সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় উন্নত টীকা প্রার্থী যা জরুরী ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য বিবেচনা করা হবে। এটি পুনের আইসিএমআর-এনআইভি দ্বারা বিচ্ছিন্ন SARS-COV-2 এর একটি ল্যাব থেকে বিকশিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে সূত্রের খবর নিয়ন্ত্রক (DGCI) সিরাম ও ফাইজারের অ্যাপ্লিকেশন পর্যালোচনা শুরু করেছে। অন্যদিকে ভারত বায়োটেক ২৫টি ট্রায়াল সাইট জুড়ে ২৬,০০০ স্বেচ্ছাসেবক কে নিয়ে ভারতের বৃহত্তম ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। বর্তমানে দিল্লি, ইউপি, বিহার, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, আসাম এবং অন্যান্য রাজ্যে কোভাক্সিনের জন্য ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
এই টিকা ‘দুই ডোজ’ শিডিউলের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এর কার্যকারিতা দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন পরে নির্ধারণ করা হয়। যে কারণে হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রথম ডোজ নেওয়ার দু সপ্তাহ বাদে কোভিড আক্রান্ত হলে, এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তখন আইসিএমআর এর তরফে জানান হয়েছিল যে দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন বাদে গিয়েই এই টিকার কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড টিকার জরুরী ভিত্তিক প্রয়োগের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করল সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া
যদিও মার্কিন ঔষধ নির্মাতা ফাইজার ও জার্মান ফার্ম বায়োনটেক যৌথভাবে তৈরি তার উন্নত টিকা প্রস্তাব করেছে, এর পাশাপাশি সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) কোভিশিল্ডের জন্য অনুমোদন চেয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্বারা বিকশিত হয়েছে। SII ভারতে শুধুমাত্র ব্রিজিং গবেষণা পরিচালনা করেছে ও শট উত্পাদন করছে।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) ইতিমধ্যে ভারতে তাদের নিজ নিজ টীকা প্রার্থীদের জরুরী অনুমোদন চেয়ে এসআই আই এবং ফাইজারের জমা দেওয়া আবেদনের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছে। বিষয় বিশেষজ্ঞ কমিটির (এসইসি) সুপারিশ প্রদানের আগে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তিনটি মাপকাঠির উপর ভিত্তি করে আবেদনপত্রপরীক্ষা করবে- নিরাপত্তা, গুণমান এবং কার্যকারিতা।
আরও পড়ুন: ভারতে ‘গণটিকাকরণ’ এ টিকা বিক্রি শুরু করতে চাইছে ফাইজার! অনুমতি’র আবেদন ডিজিসিআই’এ
এসইসি (SEC) এই সপ্তাহে একটি বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা পরামর্শগুলো মূল্যায়ন করবে এবং ড্রাগ রেগুলেটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) জরুরী অনুমোদন দেবে কি না সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে। এছাড়াও এটি ভারতে টীকা উৎপাদন বা বিপণন কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে এমন শর্তসুপারিশ করতে পারে। সাধারণত, এসইসির সুপারিশ- যা ডোমেইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত- ডিসিজিআই কর্তৃক গৃহীত হয়, যা চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করে।
এই বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আমরা তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইনা। আমরা যে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে টিকার নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং ইমিউনোজেনিটির জন্য তথ্য মূল্যায়ন করা অত্যাবশ্যক বলেই মনে করি।” এছাড়াও এসইসি এই সিদ্ধান্ত নেবে যে ফাইজারকে এখানে ব্রিজিং স্টাডি করতে হবে কিনা।