দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নিউজ-১৮ চ্যানেলের ‘আর পার’ অনুষ্ঠানে তিনি নাকি অসাবধানেই খিলজি বলতে গিয়ে ‘চিস্তি’ বলে ফেলেছিলেন। সবরকমের প্রমাণ সাক্ষী সাবুদ দেওয়ার পরেও সঞ্চালক অমিশ দেবগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে ফাইল করা পিটিশনগুলি বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।
জুন মাসের ১৫ তারিখ একটি লাইভ অনুষ্ঠানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় নাকি তিনি মুসলিম শাসক খিলজিকে ভুল করে সুফি সাধক চিস্তি বলে ফেলেন। এই চিস্তির আজমেরের দরগা অনেক মুসলিম ও অনেক পর্যটকের পীঠস্থান। পিটিশনের জবাবে অমিশের উকিল এটিকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভুল বললেও আদালতের শমনের বিরুদ্ধে যেতে পারেনি। তিনি শীর্ষ আদালতকে বলেছিলেন যে “এফআইআর এ কেউই বলেনি যে জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে”।
রাজস্থানে হাজির হয়ে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মণীশ সিঙ্ঘভি এফআইআর বাতিল করার জন্য অমিষ দেবগনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন যে তদন্ত পুলিশের অধিকার। শীর্ষ আদালত অমিষ দেবগানকে অন্তর্বর্তী কালীন জামিন মঞ্জুর করার সময় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সম্প্রচার সংক্রান্ত মামলার তদন্ত স্থগিত করে দেয়। এই সাংবাদিক বলেছেন যে এই আবেদন তার জীবন এবং স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণেই করা।
অমিশের আইনজীবি’র মতে “সুপরিকল্পিত ভাবে, আবেদনকারীকে দেশব্যাপী একটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন ফৌজদারি অভিযোগ এবং এফআইআর দায়েরের শিকার করা হয়েছে, অন্যদিকে আবেদনকারী, তার পরিবার এবং তার ক্রু’দের সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত বার্তার মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।”
আরো পড়ুনঃ এবার জরুরী ভিত্তিক ব্যাবহারের অনুমোদনের দৌড়ে সামিল ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’
এর আগেও ধর্মীয় নানা বিষয়ে বিতর্ক তুলে খবরের শিরোনামে এসেছিল অমিশ। বিরোধীদের দেওয়া ‘গোদী মিডিয়া’র ট্যাগ ও আছে তার গায়ে। সেই সব সত্ত্বেও এবার যে ভুলের স্বীকার তিনি হলেও তার জন্য মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও রাজস্থানের শীর্ষ আদালতে বহাল থাকল তার বিরুদ্ধে পিটিশন। ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারক এ এম খানিলকর আর সঞ্জীব খান্না এবার তার বিরুদ্ধের এফ আই আর তলব করল এই চারটি রাজ্যে।
অমিশ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিপক্ষে বক্তব্য পেশ করার পর, নিউজ-১৮ সংস্থা আসরে নামে। তারা ভিডিও ক্লিপিং দেখিয়ে এটিকে অনিচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণ করতে চায়। কিন্তু তাদের ও কসরত কোনো কাজে এলো না। অর্ণব গোস্বামীর পর এবার আদালতের কঠোর সিদ্ধান্তের মুখোমুখি অমিশ। তিনি তার অনুষ্ঠানে খিলজিকে নিয়ে যা নয় তাই বলতে বলতে কিভাবে সুফি সাধক ‘মইনুদ্দিন চিস্তির’ নাম নিল তার কারণ নিয়ে প্রশ্ন নেট দুনিয়ায়। এই অবস্থায় অমিশ কি করে তাই দেখার।