দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কেন্দ্রকে নতুন করে চরমপত্র দিয়ে কৃষক নেতারা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন যদি তাদের দাবি না মানা হয় তারা রেললাইন অবরোধ করবেন। কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত কৃষকরা জানালেন, তারা শীঘ্রই সেই রেল অবরোধের দিন ঘোষণা করবেন।
উল্লেখ্য এই নতুন কৃষি আইন ২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষকরা দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থিত সিংঘু সীমান্তে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। সেই বিক্ষোভ মঞ্চ থেকেই কৃষক সংগঠনগুলি জোর দিয়ে জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভ আরও জোরদার করবে ও দিল্লিতে যাওয়ার সমস্ত হাইওয়ে অবরোধ করবে। এছাড়াও এদিন কৃষকদের বিশেষ করে হরিয়ানার কৃষকরা জানান যে তাদের উপস্থিতির সংখ্যা আগামী দিনে পাঞ্জাবের কৃষকদের তুলনায় অনেক বেশি হবে।
আরও পড়ুন: মুখে পড়তে হচ্ছে না মাস্ক, চলছে স্কুল কলেজ – বিদেশ নয় দেশের এই জায়গাই করোনাহীন
আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক নেতা বুটা সিং বলেছেন, “যদি দাবি না মানা হয় আমরা রেললাইন অবরোধ করবো। আমরা শীঘ্রই এই তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাব।” এই বিষয়ে আরেক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “কেন্দ্র স্বীকার করেছে আইনগুলি ব্যবসায়ীদের জন্য বানানো হয়েছে। কৃষি যেহেতু রাজ্যের বিষয়, আইন তৈরির এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের কোনও অধিকার নেই।”
যদিও বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষক সংগঠনের নেতাদের আর্জি জানান, তারা যেন সরকারের পাঠানো প্রস্তাব বিবেচনা করেন। যাতে তিনটি কৃষি আইন ঘিরে প্রতিবাদ নিয়ে যে নতুন করে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা শেষ হয়। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সঙ্গে যে কোনও সময় আরও আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
তোমর বলেন, যখন আলোচনা চলছে তখন বিক্ষোভের পরবর্তী পর্যায় ঘোষণা করা উচিত নয়। তিনি সংগঠনগুলিকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে আহ্বান জানান। বলেন, “আমরা আমাদের প্রস্তাব কৃষকদের দিয়েছি। তাই তাদের আর্জি জানাচ্ছি ওটাকে বিবেচনা করতে। যদি তারা ওই প্রস্তাবগুলি নিয়েও আলোচনা চান, আমরা তাতেও রাজি।” এমএসপি পদ্ধতি নিয়ে সরকার নতুন বিল আনছে কি না এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, “এমএসপি-র ওপর নতুন আইনের কোনও প্রভাব পড়বে না, তা যেমন ছিল তেমনটাই জারি থাকবে।”