দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: প্রত্যন্ত অঞ্চল হোক অথবা বড় শহরের বেশি জনবসতিপূর্ণ এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওয়াই-ফাই সিগন্যাল কাজ না করা, ইন্টারনেট স্লো হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা হামেশাই ঘটছে। তবে খুব শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে মুক্তি! হ্যাঁ, এমনটাই কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য গত বুধবার, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে কয়েক লক্ষ পাবলিক ওয়াই-ফাই হটস্পট বসানোর অনুমতি দিয়েছে। এই ওয়াই-ফাই হটস্পট বসানো হলে, এখন যেখানে খুশি মানে রেসিডেনশিয়াল এলাকায় বসবাসকারী কোনও ব্যক্তির থেকে অথবা পাড়ার কোনও চায়ের দোকানে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধে পেতে পারেন। এই বিষয়ে বুধবার ইউনিয়ন ক্যাবিনেট থেকে অনুমোদন মিলেছে। এই প্রজেক্টের নাম পাবলিক ওয়াই-ফাই অ্যাকসেস ইন্টারফেস (WANI)প্রজেক্ট।
ইউনিয়ন ক্যাবিনেটের এই পদক্ষেপ ১৯৯০-এর পিসিও (PCO) মুভমেন্টের মতোই একটি যুগান্তকারী ঘটনা বলেই ওয়ান করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৯০ সালের এই পিসিও (PCO) মুভমেন্ট, যা কয়েন টেলিফোন বুটের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে বিপদের সময়ে দারুন সাহায্য করেছিল। যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং ন্যূনতম ব্যয়ে মানুষ ফোন কল করতে পারতো।


সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডব্লিউএএনআই(WANI)-অনুমোদিত অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার মোবাইল ফোনে এই ওয়াই-ফাই কানেক্ট করতে পারবেন। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের জন্য আপনাকে ব্যয়ও করতে হবে খুবই স্বল্প। ন্যূনতম ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে খরচ হবে ১০ টাকারও কম। আর এই টাকা কেটে নেওয়া হবে অ্যাপের ওয়ালেট থেকে।
এর আগে, গুগল এবং ফেসবুকের মতো সংস্থারাও চেয়েছিল ভারতে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবসা স্থাপন করতে। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের জন্য, যে কোনও ওয়াই-ফাই প্রোভাইডারের সঙ্গে একবার মাত্র রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট। এরপর আপনি যে কোনও সময়, দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন পুনরায় রেজিস্ট্রেশন না করেই।
বেশ কয়েক বছর আগে টেলিকম রেগুলেটর ট্রাই-এর তরফ থেকে এই এই ওয়াই-ফাই হটস্পটের পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছিল। শুধুমাত্র সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়াও এই পদক্ষেপ গ্রামীণ এলাকায় এবং ছোট শহরের কিছু মানুষকে উপার্জন করতেও সাহায্য করবে। এই বিষয়ে ট্রাই-এর প্রাক্তন সভাপতি আর এস শর্মা বলেন, “ট্রাই-এর প্রস্তাবিত ডব্লিউএএনআই প্রজেক্ট আজইউনিয়ন ক্যাবিনেট অনুমোদন করল। এই সিদ্ধান্ত দেশে দশ লক্ষেরও বেশি ওয়াই-ফাইহটস্পট বসতে সাহায্য করবে। এর ফলে সকলেই খুব সহজে এবং কম ব্যয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন ইন্টারনেট । ধরে নিন এটি সংযোগ মাধ্যমের ইউপিয়াই হয়ে উঠবে।” খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্ত যে যুগান্তকারী সে কথা বলাই বাহুল্য।