দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একুশের ভোটকে পাখির চোখ করেই ছ’মাস আগে থেকেই গেরুয়া ও ঘাসফুল শিবির রাজ্য দখলে মরিয়া হয়ে নেমে পড়েছে। এর মধ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা’র গত দুদিনের রাজ্য সফরের এক সপ্তাহের মধ্যেই আসছেন অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর অনুযায়ী আগামী ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর রাজ্যে থাকবেন অমিত শাহ।
এদিকে গেরুয়া বনাম সবুজ শিবিরের রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে তরতড়িয়ে। একদিকে শাসক তৃণমূল যেমন ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করে ‘বঙ্গ ধ্বনি’ নামক কর্মসূচিতে উন্নয়নকে ঢাল করে ক্ষমতায় থাকতে সচেষ্ট। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচীর মাধ্যমে বাংলায় পালাবদলে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এই মূহুর্তে বহি:রাজ্য থেকে একে একে পাঁচ জন শীর্ষ নেতৃত্ব অ্যাক্টিভভাবে বিভিন্ন জোনে কাজ করে চলেছেন। এরই মধ্যে বিজেপি প্রধানের বঙ্গ সফরের দ্বিতীয়দিনে ঘটে গেল চরম প্রশাসনিক অরাজকতা।
গতকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিনে ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে ডায়মন্ড হারবার রোডে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকোল পেরতেই নাড্ডার কনভয়ে বেপরোয়া ইট-বোতল দিয়ে হামলা চালায় একদল পরিচয়হীন। কনভয়ের একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর হয়। সেই সাথে চোট পেয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছনোর পর দেখতে পাওয়া যায় যে গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সবাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। হামলার দায় শাসক তৃণমূলের কাঁধেই চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির অভিযোগ নস্যাত্ করেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে যারপরনাই ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার।






কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে লিখেছেন, ‘বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি-র কনভয়ে আক্রমণ খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। এই সংগঠিত হামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।”
আর এই আবহেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ নিজেই। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি কে ১৪ তারিখ দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন শাহ। রাজ্যপালের দেওয়া রিপোর্ট এ যথাযথ তথ্য নেই। যা জানিয়েছেন রাজ্যপাল নিজেই। অন্যদিকে দু’দিনের রাজ্য সফরে ঠাসা কর্মসূচি থাকছে শাহের। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে যেতে পারেন অমিত শাহ। সেখানে দলের সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।