দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ এর আগে ফেসবুককে ভর্ৎসনার মুখে পরতে হয়েছে পক্ষপাতিত্বের জন্য। আমেরিকার ভোটে কিভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করে ভোট ঘুরিয়েছিল সেই গপ্পো এখন এক বিকট সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এবার কোনো থার্ড পার্টি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নয়। সরাসরি ফেসবুকের অন্দরমহলের সঙ্গে বিজেপির যোগ সাজোশের তথ্য উঠে এসেছে।
রবিবার দ্য ওয়াল ষ্ট্রিট জার্নালে এই খবর উঠে এসেছে যে ফেসবুকের সিকিউরিটি টিম নাকি বজরং দলের সাম্প্রদায়িকতার প্রচারকে কোনোভাবেই বিরোধ করছে না। তাই দিন দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বাড় বাড়ন্ত বাড়ছে। নিজেদের ব্যবসা ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই ফেসবুক এই কাজ করছে বলে মার্ক এর সংস্থার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে দেশীয় বিরোধী দলগুলিও।
আরো পড়ুনঃ নাইজেরিয়ার স্কুল থেকে উধাও ৬০০ জন পড়ুয়া, সন্দেহর তির এক বন্দুকবাজের দিকে
বছরের শুরুতেই এই জার্নালে একটি তথ্য উঠে আসে যেখানে ফেসবুকের এক কর্মী আঁখি দাস জানান যে ফেসবুক তার ব্যবসায়িক দিকটি রক্ষা করার জন্য এই দক্ষিণপন্থী পার্টিটিকে সুবিধে পাইয়ে দিচ্ছে৷ সঙ্গে সঙ্গে এক বিজেপি নেতা যে সাম্প্রদায়িকতা প্রচার করেছিল ফেসবুকে ও হেটস্পিচ দিয়েছিল সেও নাকি এই লবি ধরে শাস্তির থেকে বেঁচে যায়। এই খবর প্রকাশের পরেই সেই নেতাকে ব্যান করে দেয় ফেসবুক এবং অদ্ভুত ভাবে আঁখি দাস তার চাকরি ছেড়ে দেন।
সম্প্রতি বজরং দলের একটি ভিডিও ফেসবুকে ২.৫ লক্ষ ভিউজ কুড়িয়েছিল। তাতে নাকি বলা হয়েছিল যে তারা কিভাবে দিল্লী থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত একটি চার্চকে কিভাবে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা করছে। এইসব দেখে ফেসবুকের অন্দরেই চাপানউতোর তৈরি হয়। কর্মচারীদের একাংশ চিঠিও লেখে কিন্তু তার সাড়া মেলেনি। অবশেষে এই জার্নালের প্রেক্ষিতে ফেসবুকের এক আধিকারিক অ্যান্ডি স্টোন জানান যে, “তারা কোনোরকম সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক আঁতাতের সঙ্গে জড়িয়ে নেই৷”