দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কোভ্যাক্সিনের প্রথম দফার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই টিকা ভারত বায়োটেক ও কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর (ICMR) যৌথভাবে তৈরি করেছে। তবে কোভ্যাক্সিন টিকার প্রাথমিক ফলাফল নিশ্চিত ভাবেই বিজ্ঞানীদের কাছে স্বস্তির নিশ্বাস।কারণ এখনো অবধি এই টিকার গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নি উপরন্তু এই টিকা নেওয়ার পর শরীরে সঠিক প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, যে সব রোগীরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাদের শরীরের অ্যান্টিবডির সাথে যারা করোনা টিকাটি নিয়েছেন তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি’র হুবহু মিল রয়েছে। যদিও এর মাঝে এক স্বেচ্ছাসেবকের গুরুতর শরীর খারাপ হয়, কিন্তু পরে খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে সেই রোগের সাথে এই টিকার কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: দেশে কবে আসতে চলেছে করোনার টিকা? করোনা শূন্য ভারতবর্ষের ছবি দেখাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
আইসিএমআর এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মূলত যেখানে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে সেই স্থানটিতে ব্যাথাই এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যদিও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শট এই উভয় ক্ষেত্রেই একই রকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর শুধু একজনেরই টিকা দেওয়ার পর পাঁচদিন বাদে কোভিড ধরা পড়ে। সেই স্বেচ্ছাসেবক ৩০ জুলাই টিকা নিয়েছিলেন এরপর তাঁকে হসপিটালে ভর্তি করা হয় ও তিনি গত ২২ আগস্ট ছাড়া পান। তবে সেই সেই ঘটনার সঙ্গে টিকার কোনও যোগ নেই বলেই জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ১১টি হাসপাতালে ৩৭৫ জনের ওপর পরীক্ষা হয়েছিল। এখনো অবধি যা খবর তাতে দুই ডিগ্রি থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে এই টিকা স্টোর করা যায় যেটি বর্তমানে ভারতে যে কোল্ড চেইনগুলি আছে, তার সামর্থ্যের সঙ্গে মানানসই। হাফ মিলিলিটার করে চোদ্দো দিনের অন্তরে দু’বার এই টিকা দেওয়া হয়। এর পর স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাদের শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য ফলো-আপ ভিজিট করা হয়েছে। আর তাতে পাওয়া যায় নি কোনো নেতিবাচক রিপোর্ট।