দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ইতিমধ্যেই বিশ্বের কয়েকটি দেশ শুরু করে দিয়েছে করোনা টিকার গণটিকাকরণ। এমনকি ভারতেও আর দিন ১৫ বাদ থেকে শুরু হয়ে যাবে তোড়জোর। আর এই করোনা টিকা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করে দিয়েছে। আর সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফলে আতঙ্ক বা দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই, নিচে দেওয়া বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই অনেকটাই আশঙ্কা মুক্ত হবেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে প্রাথমিক ভাবে করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড টিকা পাবেন। এরপর ৫০ ঊর্ধ্ব যারা তাদের দেওয়া হবে এই টিকা। এছাড়াও যাদের বয়স ৫০-এর কম কিন্তু গুরুতর রোগ আছে তেমন রোগীরাও পাবেন। আ ৫০ ঊর্ধ্ব গোষ্ঠীতে প্রথমে ৬০ বছরের বেশি যারা তাদেরই টিকাকরণ হবে। এরপর ধাপে ধাপে হবে ৫০-৬০ বছর বয়সীদের করোনা টিককরণ।
তবে যাদের শরীরে এক বা একের বেশি কোমর্বিডিটি আছে, তাদের করোনা টিকা নেওয়া আবশ্যিক।
২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ নিতে হবে। আর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। কিন্তু তখনও মনে করে মাস্ক পড়তে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এও জানিয়েছে যে এই করোনা টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে সরকার চাইবে যে সবাই করোনা টিকার পুরো ডোজ যেন পূর্ণ করেন, কারণ এর ফলে রোগের সংক্রমণ হওয়ার চান্স কমবে।
করোনা টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই তা গণটিকাকরণের জন্যে প্রদেয় হবে। বিশ্বের অন্য স্থানে যে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে, গুণমানে সেগুলি ভারতের চেয়ে ভালো হবে না এমনটাই বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন।
যারা বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত বা ন্যূনতম সন্দেহ রয়েছে, তাদের টিকা নিতে নিষেধ করেছে সরকার। তবে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ১৪ দিন কেটে গেলে তারপর টিকা নেওয়া যেতে পারে। যাদের অতীতে করোনা হয়েছিল, তারাও টিকা নিতে পারেন।
একটি বিশেষ সংস্থার টিকা যদি দেন, তাহলে পুরো ডোজ সেটারই শেষ করুন। বিভিন্ন টিকার ডোজ মিলিয়ে নিলে কার্যকর হবে না।
টিকা নেওয়ার জন্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। ডেটাবেসে নাম থাকলে তাহলেই আপনাকে যোগাযোগ করা হবে টিকাকরণের জন্য। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এসএমএসের মাধ্যমে টিকা প্রার্থীকে নির্দিষ্ট স্থান ও কাল জানিয়ে দেওয়া হবে ।
টিকা নেওয়ার জন্যে নাম রেজিস্ট্রেশন করার জন্য লাগবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, মনরেগা, স্বাস্থ্য কার্ড, প্যান কার্জ, পাশবুক, পেনশন নথি, সার্ভিস আইডি কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া আইডি কার্ডের কোনও একটি। যে ফোটো আইডি কার্ড দিয়ে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করবেন, সেটা বাধ্যতামূলক ভাবে দেখাতে হবে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সময়।
এরপর ভ্যাক্সিন নেওয়া হলে পড়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কনফার্মেশন এসএমএস যাবে ব্যক্তির কাছে। একই সঙ্গে যাবে কিউআর কোড ভিত্তিক একটি অফিশিয়াল সার্টিফিকেট।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক এও জানিয়েছে যে কোনও টিকার ক্ষেত্রে যেমন সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথা ইত্যাদি, এখানেও সে ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।