দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লুধিয়ানায় একটি ট্যাটু স্টুডিও চালান বছরের ২৯ -এর এক যুবক চেতন সুদ। শুক্রবার আরও তিনটি ট্যাটু শিল্পীর সাথে কৃষকদের প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তিন ঘন্টারও কম সময়ে, তারা বিনামূল্যে ১৮ টিরও বেশি ট্যাটু তৈরি করেছেন। চেতন বলেছেন, “আমাদের বাবা-মা কৃষক নন তবে আমরা কি তাদের সাথে সংযুক্ত নই? আমাদের প্লেটে আমরা যে খাবার পাই তা তাদের কারণেই”
চেতন এবং তার বন্ধুরা তিন-চার দিনের জন্য বিক্ষোভকারীদের বিনামূল্যে ট্যাটু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ট্যাটুগুলিতে স্লোগান লেখা এবং আঁকার মাধ্যমে পাঞ্জাবি সংস্কৃতি এবং কৃষিকাজকে তুলে ধরেছেন তারা তারা ট্যাটুর কালি,যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত এবং নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল এবং এখানকার দোকানদারদের দ্বারা ব্যবহৃত জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে তারা কাজটি চালাচ্ছেন।
কর্ণ (২০) নামে একজন অন্য ট্যাটু শিল্পী বলেছেন, বেশিরভাগ প্রতিবাদকারীরা প্রথমে ফসল, ট্রাক্টর বা ষাঁড়ের ছবিকে ট্যাটু হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তারা বিদ্রোহের স্লোগানকেও বেছে নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:বিজেপি তে যোগ দিয়েই ‘তোলাবাজ ভাইপো’ উল্লেখ করে তৃণমূলকে দুর্নীতিবাজ দল বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!
তাদের স্টুডিওতে সাধারণত ট্যাটু করতে প্রায় ৩,০০০-৪,০০০ টাকা খরচ হয়, কিন্তু তারা তাদের আর্থিক ক্ষতির কথা চিন্তা না করেই কৃষকদের সমর্থনে বিনামূল্যে এই ট্যাটু করার সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন।
পাতিয়ালার একজন বিক্ষোভকারী আমান (২৩) তার হাতে একটি ট্রলি ও একটি ফসলের একটি ট্যাটু করিয়েছেন আর বলেছেন,”এটি আমার প্রথম ট্যাটু, আমি মনে করি এটা একটা খুব ভাল কাজ কারণ এটা আমার সাথে চিরকাল থাকবে আর আমাকে আজকের দিনটাকে মনে করিয়ে দেবে।”
স্টলটি প্রবীণ কৃষকদের কৌতূহলী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। বিদ্রোহরত একজন কৃষক জানিয়েছেন, উনি আপ্লুত এই উদ্যোগটি দেখে। তবে সম্ভবত ট্যাটু করাটা খুবই যন্ত্রনাদায়ক হতে পারে তাই তিনি নিজে না করলেও তরুণ প্রজন্ম এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে দেখে উনি গর্ববোধ করছেন।