দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গতকাল একটি বিবৃতিতে রেল মন্ত্রক দাবি করেছে যে ‘জাতীয় রেল পরিকল্পনার’ খসড়ায় ওয়েটিং লিস্ট তুলে দেওয়ার কোনো কথা কোথাও বলা হয়নি বরং কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ভুল ব্যাখ্যা ‘র কারণে বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জটিলতা ও সমস্যা তৈরি হয়েছে।
গতকাল অর্থাত্ শনিবার মন্ত্রক সূত্রে খবর, জাতীয় রেল পরিকল্পনার খসড়ায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে কিন্তু ওয়েটিং লিস্ট বাতিল হবে এবং শুধুমাত্র কনফার্মড যাত্রীরাই রেলভ্রমণের অনুমতি পাবেন, এমন কথা কোথাও বলা হয়নি। রেল মন্ত্রকের তরফে গতকাল এই ব্যাখ্যামূলক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই উদ্যোগের ফলে যাত্রীদের ওয়েটিং লিস্টে নাম ওঠার সম্ভাবনা বরং হ্রাস পাবে।”
আরও পড়ুন: কৃষক বিদ্রোহের সমর্থনে এবার মিলবে ‘বিনামূল্যে ট্যাটু’
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের তুলনায় যাত্রীদের পরিমাণ ও চাহিদা বেশি হলে রেলের তরফে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করা হয়। ফলে সরকারের তরফে ওয়েটিং লিস্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়াই হয়নি। রেল প্রশাসনের মতে, যাত্রীর চাহিদা ও লভ্যতার মধ্যে গরমিল থাকলে তা বোঝার সহজ উপায় হল ওয়েটিং লিস্ট।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি ‘জাতীয় রেল নীতি’ তৈরি করা হচ্ছে যেখানে অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো বৃ্দ্ধি এবং রেলের আয় বৃদ্ধির উপরে নজর রাখা হয়েছে। এই খসড়া তৈরি করতে বছরভর সমীক্ষা চালিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে যাতায়াতের সময় কমানো এবং পরিষেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি, কার্বন নির্গমন হ্রাস করার বিষয়েও সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। ২০৩০ সালের মধ্যে নেট জিরো কার্বন নির্গমন সফল করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। রেলের এই নীতির মূল লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে রেলে ‘যাত্রী’ ও ‘ট্রেন সফরে’র সংখ্যা বাড়ানো।