দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গত আগস্ট মাসে মহাসমারোহে রামমন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। রামমন্দির স্থাপনের প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। এবার বিকল্প পাঁচ একর জমিতে প্রস্তাবিত মসজিদ ও হাসপাতাল গড়ে তুলতে সক্রিয় হল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)। আর সেই সাথে সামনে আনা হল মসজিদ চত্বর ও হাসপাতালের ব্লু-প্রিন্ট।
সেই ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী প্রস্তাবিত এই মসজিদ দেখতে পুরোপুরি পাশ্চাত্য স্থাপত্য। আর এটির মূল ভবনে থাকছে অত্যাধুনিকতার ছোঁয়া। তবে মসজিদের মাথায় ঐতিহ্য মেনে গম্বুজ থাকলেও তার ধরণ হচ্ছে একদমই আলাদা। এছাড়া সেখানে প্রস্তাবিত মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য যে বিল্ডিংটি গড়ে তোলা হবে তা রীতিমতো ঝাঁ চকচকে।
এখনো অবধি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মসজিদ চত্বরে তৈরি হবে একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল, একটি কমিউনিটি কিচেন, একটি লাইব্রেরি। সূত্রের খবর, গোটা মসজিদটি সৌরশক্তি চালিত হবে। সেই সাথে মসজিদের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে। এই নতুন মসজিদে একসঙ্গে ২০০০ মানুষ বসে নামাজ পড়তে পারবেন। নামাজ পড়তে বসার জায়গাটি হবে গোলাকৃতি। এছাড়া মসজিদ চত্বরে থাকছে পার্কিং সহ বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থাও।
উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়, অযোধ্যারই কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নতুন মসজিদ বানাতে বিকল্প ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করে দিতে হবে। সেই মতো মসজিদ বানানোর জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার সোহাভালের ধান্নিপুর গ্রামে ৫ একর জমি বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। সেখানেই গড়ে উঠতে চলেছে এই মসজিদ। যেখানে থাকছে মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন, লাইব্রেরীও।
উল্লেখ্য, জানানো হয়েছে ২০২১ এর ২৬ জানুয়ারি প্রস্তাবিত মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। এ প্রসঙ্গে মসজিদ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মুখ্য আর্কিটেক্ট এস এম আখতার বলেন, সাত দশক আগে ওই দিন দেশের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। তাই ওই দিনটিকেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।
যদিও এর আগে এর আগে আখতার জানিয়েছিলেন, নতুন মসজিদ বাবরি মসজিদের থেকে বড় হবে, কিন্তু দেখতে হুবহু তার মতো হবে না। হাসপাতাল থাকবে কমপ্লেক্সের মাঝখানে। এই মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ৩০০ শয্যার হবে ও সেখানে মানুষকে নিখরচায় চিকিত্সা দেওয়া হবে। যদিও এখনও এই মসজিদের কোনও নাম ঠিক হয়নি। তবে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, কোনও রাজা, সম্রাট বা বাদশাহের নামে এই মসজিদের নামকরণ করা হবে না।