দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ক্রমে বেড়েই চলেছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেছেন কৃষকেরা! তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এই চিঠি লিখলেন কৃষকরা। সিঙ্ঘু সীমানার কৃষকরা মঙ্গলবার এই চিঠি পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে
কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর মঙ্গলবার বলেন, যখনই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা হয়েছে, “প্রথমে তাকে ঠাট্টা করার প্রবণতা দেখা দেয়, তারপর এর বিরোধিতা করার এবং সবশেষে তা গ্রহণ করার।”
গতকাল সিঙ্ঘু সীমানায় আন্দোলনকারীরা এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। সেই শিবির থেকে সংগৃহীত রক্তেই চিঠি লিখলেন কৃষকরা। পাশাপাশি, আগামী দিনেও আন্দোলন আরও জোরদার করতে চলেছেন কৃষকরা। এদিন বৈঠক করে সেই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করলেন তাঁরা।


উল্লেখ্য ওই চিঠিতে মূলত লেখা আছে, ‘কালা আইন বাতিল করুন। অন্যথায় আন্দোলন আরও জোরালো হবে।’ চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদিজি সুপ্রভাত। আমরা আমাদের রক্ত দিয়ে এই চিঠি লিখছি। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের ভোট দ্বারা আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। এই তিন কৃষি আইন পাশ করিয়ে কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আমরা এগুলো গ্রহণ করছি না। অনুরোধ এই তিনটি আইন বাতিল করুন।’
আরও পড়ুন: লাইভ চলাকালীন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হল কৃষক মোর্চার ফেসবুক পেজ!
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠক করলেন কৃষকরা। সেই বৈঠক শেষে তোমর বলেন, ‘আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি কৃষক সংগঠনের সঙ্গে কেন্দ্রের ফের আলোচনা শুরু হবে।’ তোমর প্রতিবাদকারী কৃষকদের উদ্দেশ্যে একটি পরিষ্কার সংকেতে দেন যে সরকার এই তিনটি আইন থেকে পিছু হটতে পারবে না যা তাদের নিয়ন্ত্রিত ‘মান্ডি’ এর বাইরে তাদের পণ্য বিক্রি করার স্বাধীনতা প্রদান করবে এবং তাদেরকে নিরাপদ উপায়ে চুক্তিভিত্তিক চাষে যেতে উৎসাহিত করবে।
মঙ্গলবার ২৭তম দিনে শুরু হওয়া কৃষি আইন এবং চলমান আন্দোলন নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ফরেন রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসে। এই মিথস্ক্রিয়া ছিল সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মিডিয়াকে জানানোর একটি প্রসারের অংশ।
দুটি কর্পোরেট হাউসের (আদানি এবং আম্বানি) বিরুদ্ধে কৃষকদের বিস্ফোরণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তোমর বলেন, যারা হয় এই কর্পোরেট হাউসের নাম নিয়ে আলোচনা শুরু বা শেষ করেন তিনি এমন কৃষকদের কথা বিবেচনা করবেন না । যেকোনো আলোচনায় এই কর্পোরেট হাউসগুলোর নাম গ্রহণ করা শুধুমাত্র বাস্তব বিষয় থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষক প্রতিনিধিদের আদর্শগতভাবে শুধুমাত্র সরকারের সাথে আলোচিত বিষয়গুলোর প্রতিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।