দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পুনে ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিড-১৯ টিকার জরুরী ব্যবহার অনুমোদনের (ইইউএ) জন্য আবেদন করার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই, ফার্মটি নিয়ন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পরীক্ষার জন্যে আবার একদম নতুন তথ্য জমা দিয়েছে।
বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে। নিয়ন্ত্রকের অফিসের বিশেষজ্ঞরা, অভ্যন্তরীণভাবে, এই নথিগুলির পর্যালোচনা করবে। এরপরেই তারা সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির (এসইসি) সাথে দেখা করার জন্য অনুরোধ করবে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, জানা গিয়েছে যে নিয়ন্ত্রক যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টীকা’কে “সুরক্ষিত” ঘোষণা করতে চলেছে , সম্ভবত ২৮’শে ডিসেম্বর বা ২৯’শে ডিসেম্বর এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে। ভারতে, ১০ ডিসেম্বর ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের (ডিজিসিআই) কাছ থেকে ইইউএ (EUA) চাওয়া এসআই (SI) কে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা নামের তার টীকা প্রার্থীর ভারতে ফেজ ২/৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নিরাপত্তা তথ্য জমা দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের জন্যে দু:সংবাদ! করোনার সংক্রমণের মধ্যেই নয়া আতঙ্ক ‘শিগেলা ভাইরাস’, কেরলে মৃত্যুর ছায়া!
সাপ্তাহিক বিবৃতিতে, পুনে ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির নাম না করে টিকা প্রশাসন বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সহ-সভাপতি ড. ভি কে পাল মঙ্গলবার বলেন, অতিরিক্ত তথ্য পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাল বলেন “সবাই জানে, ডিজিসিআই-এর সামনে তিনটি আবেদন আছে; এর মধ্যে রয়েছে ফাইজার, সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক। ফাইজার এখনো নতুন তথ্য জমা দেয়নি। অন্য দুটি কোম্পানি তথ্য উপস্থাপন করেছে এবং নিয়ন্ত্রক কমিটি অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।”
পাল আরো পুনরাবৃত্তি করেন যে “ইইউএ-এর (EUA) অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক নিয়মের উপর ভিত্তি করে করা হবে। বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল নিয়ে গঠিত এসইসি (SEC) এর আগে বলেছিল যে এসআইআই (SII) দেশে দ্বিতীয় / তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা তথ্য এবং তৃতীয় পর্যায় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল সহ তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।”