দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: প্রায় ৯ মাস বন্ধ থাকার পরে আজ বুধবার থেকে খুলে যাচ্ছে পুরী’র জগন্নাথ মন্দির। লকডাউন ও তার পরবর্তি করোনাভাইরাস মহামারীর দ্রুত বিস্তারের কারণে দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরটি গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে গত মাসে কৃষ্ণ কুমার ( শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক ) জানিয়েছিলেন যে এই বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে মন্দির ভক্তদের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হবে। তবে ভক্তদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে জগন্নাথদেবের দর্শন নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশেষ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) তৈরি করা হয়েছে।
আজ থেকে মন্দির মন্দির দর্শনের অনুমতি দয়া হয়েছে। তবে মোট তিনটি ধাপে তা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে অর্থাত্ আজ থেকে আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত সেবায়েতদের পরিবার ছাড়া আর অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ। পরের ধাপে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা শুধুমাত্র পুরীর বাসিন্দা তাঁদেরই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে যাতে ভিড় না হয় সেই জন্যে তারিখ অনুসারে ও শহরের ওয়ার্ড অনুযায়ী দৈনিক দর্শনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এরপর ৩’রা জানুয়ারি থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে পুরীর মন্দির।
তবে মন্দির দর্শনের জন্য ভক্তদের কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে করে নিয়ে আসতে হবে। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ হাজার ভক্তকে মন্দির দর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে ওড়িশার বিরোধী দল বিজেপি এবং কংগ্রেস বিধায়করা গত মাসে বিধানসভায় জনসাধারণের জন্য পুরীর মন্দির খোলার দাবি জানিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির চিফ হুইপ মোহন মাঝি বলেছিলেন যে, “মহারাষ্ট্র সরকার যদি মহামারীর মধ্যেই মন্দির এবং উপাসনালয় খুলতে পারে, তখন কেন ওড়িশা সরকার পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির খুলতে অপারগ।” যাক অবশেষে দর্শনার্থী ও ভ্রমণকারীদের জন্যে সুখবর। সেই সাথে জানুয়ারী থেকে পুরীর পর্যটন ব্যবসায়ীদের যে বিশেষ সুবিধা হবে সেকথা বলাই বাহুল্য।