দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ কৃষক আন্দোলন পা দিয়েছে ২৮ দিনে। বুধবারই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমারের কৃষকদের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে দেখা করার কথা। নতুন কৃষি বিল নিয়ে আরও একদফা আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। তোমার জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী বৈঠকটি কার্যকরী হবে। শিগগিরি সমাধান সূত্র মিলবে কৃষকদের সমস্যার।
অন্যদিকে আজ রাজনাথ সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কৃষকদের ক্ষতি হবে এমন কোনও পদক্ষেপ কখনই নেবেন না। আজ কিষাণ দিবসে (কৃষক দিবস) এর দিন এভাবেই কৃষকদের আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। আজ রাজনাথ সিং এও জানিয়ে দিলেন যে, সরকার-কৃষক আলোচনা চলছে সম্পূর্ণ সহমর্মিতার সঙ্গেই। চলমান এই সমস্যার খুব শিগগিরি সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
উল্লেখ্য আজ দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মদিন। আর আজ এই দিনটি পালিত হয় কৃষক দিবস হিসেবে। সেই উপলক্ষে আজ সমস্ত কৃষককে শুভেচ্ছা জানান রাজনাথ। এর পাশাপাশি খুব তাড়াতাড়ি কৃষক আন্দোলন শেষ হওয়ার বিষয়ে তিনি আশাও প্রকাশ করেন। সেই সাথে সংস্কার করে তৈরি করা নতুন কৃষি আইনের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। তিনি আজ মনে করিয়ে দেন চরণ সিং চাইতেন, কৃষকদের রোজগার বাড়ুক। তাঁরা উত্পাদিত শস্য থেকে লাভবান হোন এবং তাঁদের মর্যাদা রক্ষিত হোক।
আজ রাজনাথ সিং দাবি করেন যে, চৌধুরী চরণ সিং এর সেই আদর্শকে সামনে রেখেই কৃষকদের জন্য পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনাথের বক্তব্য, ”আমাদের প্রধানমন্ত্রীও চরণ সিংয়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষকদের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ করেছেন। কৃষকদের ক্ষতি হবে এমন কোনও পদক্ষেপ তিনি করবেন না।”
हमारे प्रधानमंत्री श्री @narendramodi उनकी प्रेरणा से ही किसानों के हित में अनेक कदम उठा रहे हैं। किसानों का वे किसी सूरत में अहित नहीं होने देंगे।
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 23, 2020
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন টুইট করে চৌধুরী চরণ সিংকে শ্রদ্ধা জানান। তিনি লেখেন, ”প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংকে ওঁর জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তিনি নিজের জীবন গ্রাম ও কৃষকদের উন্নতির জন্য সমর্পণ করেছেন। এজন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
— Narendra Modi (@narendramodi) December 23, 2020
সকলকে কৃষক দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সারা দেশের মানুষ যে ভরপেটে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যেতে পারে তার পিছনে কৃষকদের নিরলস পরিশ্রমের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্প’-র কথাও তিনি উল্লেখ করেন।