দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের একটি দল পৌঁছে গিয়েছে রাজধানী দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে। সেখানে পৌঁছে তাঁরা বিক্ষুব্ধ, অনশনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, অবস্থান করছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে কথা বলতে যাওয়া দলটিতে রয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়,প্রতিমা মণ্ডল এবং মহম্মদ নাদিমূল হক।
সূত্রের মারফত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এই তৃণমূল সাংসদরা সেখানে অবস্থানরত কৃষকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়েছেন। সেই আলোচনার সময়ে এক সাংসদের ফোন থেকে কৃষকদের প্রতিনিধিদের একটি দলের সঙ্গে কথা বলেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত কৃষকদেড় পাশে থাকার যাবতীয় আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও তৃণমূল সাংসদদের দাবি বিক্ষুব্ধ কৃষকরা ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সশরীরে উপস্থিতি’ দেখতে চাইছেন। তারা চাইছেন এবার মমতা দি ওই আন্দোলন মঞ্চে আসুক। নতুন কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে সেই কথাই আজ পুনরায় জানিয়েছেন দৌত্য করতে যাওয়া সাংসদরা।
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের জন্যে সুখবর! আজ থেকে খুলে গেল পুরীর মন্দিরের দরজা!
প্রসঙ্গত, সিঙ্ঘু সীমান্তে চলা কৃষি আন্দোলন ও অনশনের সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উত্থানের একটি তাত্পর্যপূর্ণ মিল রয়েছে। আজ থেকে ১৪ বছর আগে মমতা বন্দ্যোধ্যায় সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলনে বসেছিলেন। সেখানে ২৬ দিন টানা অনশন করেন। আর ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সেই অবস্থানকে বৈধতার স্বীকৃতি দেয়। ফলত: মমতা ব্যানার্জী ফোনে ওই কৃষকদেড় নিজের অনশনের কথা জানিয়ে কিছুটা হলেও ‘ভোকাল টনিক’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন সে কথা বলাই বাহুল্য।
এর আগেও কৃষক আন্দোলনের পাশে রয়েছে তৃণমূল একথা মোবাইলেই জানিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। এর আগেও কৃষক আন্দোলনকারী পরমজিত্ সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার দৌত্য করেছিলেন ছিলেন ডেরেক ওব্রায়েন। মমতা ট্যুইট করে সে সময়েই জানান, কৃষকদের সঙ্গে কথা না বলেই এই বিল পাশ করা হয়েছে। কৃষকদের যে কোনও মূল্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তবে এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের দাবি। সেইস সময়ে বিজেপি’র রাজনাথ সিং স্বয়ং হাতে করে ফলের রস খাইয়ে মমতা ব্যানার্জী’র অনশন ভাঙতে ও রাজ্যে পাল বদল করতে সহায়তা করেছিলেন। অথচ আজ রাজনীতি’র খেলায় সেই বিজেপি’র বিরুদ্ধেই সোচ্চার মমতা ব্যানার্জী!