দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এবিষয়ে বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ জানান, “আদি ধর্মনগরী বেনারস পর্যটন স্থল। অসংখ্য পর্যটক আসেন। গঙ্গা ভ্রমণ আকর্ষণীয়। প্রচুর নৌকো চলে গঙ্গায়। ডিজেল চালিত হওয়ায় গঙ্গা দূষিত হচ্ছে। এজন্য গ্যাস চালিত পরিবেশ বান্ধব বোট চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে খিড়কিয়া ঘাটে প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। সেখানেই প্রাকৃতিক গ্যাস রিফিলিং স্টেশন করা হবে। সিএসআর ফান্ডে নৌকার ডিজেল ইঞ্জিনগুলি বদলানোর কাজ হবে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা। তারপরেই বেনারসের ঘাটে দেখা যাবে গ্রিন বোট।”
দেবী শ্রোতস্বিনী ভগবতী গঙ্গে…’, বলে ডুব দিলে পাপ খণ্ডন হয়। গঙ্গায় ডুব দেওয়াকে এক পূর্ণ কাজ বলে মনে করা হয়। আর এই পূর্ণতা অর্জন করার জন্যই লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থীর ভিড় দেখা যায় গঙ্গার তীরে।কিন্তু তীর্থযাত্রীদের চাপে ক্রমেই বাড়ছে দূষণ। তাই এবার পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই বারাণসীতে শুরু হবে পরিবেশ বান্ধব ‘গ্রিন বোট’ পরিষেবা।
বেনারস বা বারাণসীকে এক পূন্য পর্যটন স্থলও বলা হয়। শিবের আরাধনার পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষে ভ্রমনও বেনারসে তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু তাই নয়, ৮৮টি ঘাট সেখানে নিজেদের আধ্যাত্মিক মহিমা নিয়ে সেখানে অবস্থান করছে।
গঙ্গার সন্ধ্যারতি হল এক আকর্ষণীয় দিক,যা দেখার জন্য লাক্ষ লাক্ষ পর্যটকরা ভীড় করেন। শুধু তাই নয়, গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের জন্য নৌকা ও চড়েন অনেকে। তবে এবার এই নৌকাই হয়ে উঠছে পরিবেশ বান্ধব। ডিজেলে নয়, এবার নৌকা চলবে প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে। সিএনজি (CNG) ইঞ্জিন চালিত গ্রিন বোটের দেখা মিলবে কয়েক মাস বাদেই।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ‘এই প্রকল্প বারাণসীর খিড়কিয়া ঘাটে তৈরি হচ্ছে। এখানেই থাকবে প্রাকৃতিক গ্যাসের রিফিলিং স্টেশন। এই গ্রিন বোটের আওতায় ১ হাজার ৮০০ নৌকাকে আনা হবে। প্রাথমিক ভাবে ৫০০ টি ডিজেল চালিত নৌকাকে গ্যাস চালিত নৌকোই রূপান্তরিত করা হবে।’