দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশজুড়ে যখন কৃষকদের বিক্ষোভে তুঙ্গে , যখন এই বিক্ষোভের জেরে গত ৩০ দিন ধরে দিল্লি ও সংঘু সীমান্তে প্রবল বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছে ঠিক তখন দিল্লির মেহরৌলি থেকে এদিন কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে পারদ চড়ালেন অমিত শাহ। আর অন্যদিকে কৃষকদের কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী।
এদিন দিল্লির সভা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান,’ প্রধানমন্ত্রী মোদী, ৯ কোটি পরিবারকে ১৮০০০ কোটি টাকা কিস্তি কিস্তিতে দেওয়ার বন্দোবস্ত আজ থেকে শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি স্কিমে। তিনি কৃষকদের শুভানুধ্যায়ী। ‘ এদিন সাফ বার্তায় অমিত শাহ বলেন, “কৃষকদের পথভ্রষ্ট করা হচ্ছে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এমএসপি সিস্টেম একই জায়গায় থাকবে।” ফলে ফের একবার কেন্দ্র স্পষ্ট করে দিল যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের বঞ্চনা সহ্য করতে হবে না। এক্ষেত্রে সিংঘু-দিল্লি সীমান্ত থেকে বারবার অমিত শাহের বিরুদ্ধে তোপ উঠতে থাকে কৃষকদের তরফে। যার জবাব দিলেন খোদ শাহ।


এদিন অমিত শাহ স্পষ্ট করে জানান, কৃষকদের কাছ থেকে আমএসপি কেউ কাড়তে পারবে না। তিনি বলেন, কৃষকদের থেকে জমিও কেড়ে নেওয়া হবে না। সরকার খোলা মনে বিক্ষুব্ধ চাষিদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এদিকে, জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ক-ষকদের সঙ্গে আরও একবার বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে ৫ বার বৈঠক হয়েছে কৃষি আইন নিয়ে। কৃষকদের দাবি,আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। আর কেন্দ্র সেই জায়গায় অনড়।
অন্যদিকে মোদী আজ কেন্দ্রীয় সরকারী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার ৯ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার পরের কিস্তির ১৮ হাজার কোটি টাকা পাঠান। মাত্র একটা সুইচের মাধ্যমেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টের প্রত্যেকের কাছে টাকা পাঠান মোদী। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আজ কিষাণ নিধির টাকা সরাসরি পৌঁছয় কৃষকের অ্যাকাউন্টে। ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার বেশি এই প্রকল্পে পেয়েছেন চাষি। কোনও দুর্নীতি, কোনও কাটমানি নেই এর পিছনে।’ সামনেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। আর তার আগে এই অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন মোদী।
বলেন, “সব রাজ্য টাকা পায়, শুধু পায় না বাংলা। রাজ্যের কৃষক ভাইয়েরা যোজনার টাকা পাচ্ছেন না। টাকা না পাওয়ার পিছনে যে শুধুমাত্র রাজনীতিই দায়ী সে বিষয়টাও তুলে আনেন মোদী। মোদী আরও বলেন, “এ কথা দেশের সামনে বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। এই রাজনৈতিক বিচারধারার জন্যই বাংলার আজ এমন অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৭০ লক্ষ কৃষক এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর সেই বঞ্চনা’র মূলে রয়েছে বাংলার সরকার।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করেছে, তারা নিজেদের কৃষকদের সুবিধা বন্ধ করে রাজনীতি করছে। যাদের ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে তারাই এখন প্রচারের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে ব্যস্ত; মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।