দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মাত্র ২১ বছর বয়সেই মেয়র এর পদ সামলাতে চলেছেন কেরলের কলেজের এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ! তাও কোনও ছোটোখাটো শহর নয়, কেরালার রাজধানী থিরুবনন্তপুরমের পুরসভার দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। আর এই গুরুভার সামলানোর দ্বায়িত্ব যিনি পাচ্ছেন তিনি হলেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আর্যা রাজেন্দ্রন। আর তাঁকে এই এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে কেরল সিপিআইএম।
থিরুবনন্তপুরমে এলডিএফের সঙ্গে দারুন লড়াই হয়েছে বিজেপির। এখানের ১০০ আসনের পুরসভায় এলডিএফ পেয়েছে ৫২, বিজেপি পেয়েছে ৩৫। আর কয়েক মাস বাদেই বিধানসভা ভোট। তার আগে যুব সমাজের উত্সাহ বৃদ্ধি করতে ও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে আর্যার মতো এক নবাগতাকে দায়িত্ব দেওয়া হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও এবছর কেরালায় স্থানীয় নির্বাচনে আশাতীত ভালো ফল করেছে বামেরা। তবে এই মেয়র হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন জামিলা শ্রীধরন ও অন্যান্য নেতারা।
উল্লেখ্য এই মূহুর্তে এই কনিষ্ঠ বয়সী এই বাম নেত্রী অল সেন্টস কলেজে বিএসসি ম্যাথামেটিকস পড়ছেন। ভারতের ইতিহাসে এর আগে মাত্র ২৩ বছর বয়সে এলাহাবাদের মেয়র হয়েছিলেন অভিলাষা গুপ্ত নন্দী। এবার তাঁর রেকর্ড ভাঙ্গছে আর্যা। প্রসঙ্গত, ছোটো বেলা থেকেই সমাজকে বদলাবার ইচ্ছে নিয়ে চলা আর্যা নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। তাঁর একতলার বাড়ি আর সামনে কাঁচা রাস্তা। বাবা পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান, মা এলআইসি এজেন্ট। প্রথমবারের এই কাউন্সিলার জানান যে খুব ছোটো বেলা থেকেই রাজনীতির বিষয় উৎসাহী তাই দলের এই দায়িত্ব তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই সিপিএমের শিশুদের সংগঠন বাল সংগমের সদস্যপদ গ্রহণ করেন আর্যা। এখন তিনি সেই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ও একই সঙ্গে এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য।
রাজনৈতিক জীবনে আর্যার আইডল পিনারাই বিজয়ন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা। থিরুবনন্তপুরম কে সুন্দর করে তুলতে ও পরিষেবা নিশ্চিত করতে অনেক স্বপ্ন দেখছেন এই হবু মেয়র। তবে আর্যা’র বক্তব্য তিনি জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা তৈরি করতে চান যাতে সবাই এই পরিষেবা ভোগ করে। সেই সাথে শহর যাতে আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেকারণে ওয়েস্ট ম্যানেজমেণ্ট ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজাতে চান তিনি। তবে এই সব কিছুর মধ্যেও আর্যা তাঁর পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে চান। তাঁর এই জয়ের রহস্য কী? এই প্রশ্নের উত্তরে আর্যা জানান যে অল্প বয়সী ছাত্রী বলেই মানুষ তাঁকে আশীর্বাদ দিয়েছে। তবে হবু মেয়রের ইচ্ছে জনগণের কাজের সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে যাবেন। তাঁর দাবি শিক্ষা’ই সুস্থ সমাজ গড়ার হাতিয়ার।