প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন যে যারা পণ্ডিচেরীতে স্থানীয় নির্বাচন বন্ধ করে দিচ্ছে তারা তাঁকে গণতন্ত্রের পাঠ দিয়ে শিক্ষিত করার চেষ্টা করে চলেছে রোজ। এই প্রসঙ্গে প্রধান্মংত্রী প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট পণ্ডিচেরীতে পঞ্চায়েত ও পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও রাজ্য তা বাস্তবায়িত করছে না।
মোদী আজ বলেন “শীর্ষ আদালতের আদেশ সত্ত্বেও পণ্ডিচেরীতে পঞ্চায়েত ও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। যারা পণ্ডিচেরীতে ক্ষমতায় আছেন তারা স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে বাধা দিচ্ছেন অথচ তাঁরাই রোজ আমাকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিচ্ছেন। যারা আমাকে গণতন্ত্রে শিক্ষা দিছেন তারাই সেখানে তাদের সরকার পরিচালনা করছেন।”
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত ডিডিসি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মোদী আজ বলেন, জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ ভারতের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন “জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ সেখানে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। সকল শ্রেণীর মানুষ বেরিয়ে এসে ডিডিসি নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেন। জম্মু ও কাশ্মীর মহাত্মা গান্ধীর ‘গ্রাম স্বরাজ’ দর্শন জয়ী হয়েছে। একটা সময় ছিল, আমরা (BJP) জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের অংশ ছিলাম কিন্তু আমরা জোট ভেঙ্গেছি। আমাদের ইস্যু ছিল যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত এবং জনগণকে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করার যথাযথ অধিকার দেওয়া উচিত।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, যারা দশকের পর দশক ধরে ক্ষমতায় ছিল তাদের একটি বড় ভুল সীমান্ত অঞ্চলের উন্নয়নকে উপেক্ষা করছে। “সীমান্তে গোলাবর্ষণ সবসময়ই উদ্বেগের বিষয়। সাম্বা, পুঞ্চ এবং কাঠুয়া সহ সীমান্ত এলাকায় বাঙ্কার নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।”
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ এবং গুণগত মান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও আজ এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় বলেছে, এই প্রকল্পে জম্মু ও কাশ্মীরের ইউটি-এর সকল বাসিন্দাদের বিনামূল্যে বীমা সুরক্ষা প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৫ লক্ষ অতিরিক্ত পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’ (পিএম-জে) সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধা সারা দেশে বহনযোগ্য ও গ্রহণ যোগ্য হবে। পিএম-জে প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হাসপাতালগুলোও এই প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবে।