দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিরোধীরা তাঁকে মজা করে বলে টুইটার পলিটিশিয়ান! আর আজ আরও একবার তিনি সেটা প্রমাণ করলেই বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ। আজ কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। অথচ আজ রাহুল গান্ধী চলে গিয়েছেন ইতালিতে। তিনি ইতালি থেকেই টুইট করে আজ দলের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবুও সোমবার কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগের দিনই রাহুল গান্ধীর এই বিদেশ সফরকে ঘিরে বিজেপি তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে।
এমনকী কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীও আজ দলীয় সদর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আজ দলের পতাকা উত্তোলন করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা এ কে অ্যান্টনি। আজ ওই অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা উপস্থিত ছিলেন। তবে সাংবাদিকদের অধিকাংশ প্রশ্ন বিশেষ করে তাঁর দাদা সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন করতেই তিন এড়িয়ে গেলেন।
তবে আজ রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে চাপা অসন্তোষ লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেখানে দলের অধিকাংশ নেতা ও কর্মীরা চাইছেন তাকে সভাপতি পদে দেখার জন্যে, সে মূহুর্তে এই রকম দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের পরিচয় দিয়ে রাহুল গান্ধী আবার বিতর্ক উসকে দিলেন। এদিন এই প্রসঙ্গে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসেই রাহুল গান্ধী নেই!
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা বিক্ষুব্ধদের মধ্যে অন্যতম সলমন খুরশিদ আজ রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘এর পিছনে ১০১টি কারণ থাকতে পারে। আমরা কিছু ভাবতে চাই না। উনি যদি গিয়েছেন, তাহলে হয়ত কোনও বৈধ কারণ আছে।’ যদিও গতকাল অর্থাত্ রবিবার গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেছেন ,দিদিমাকে দেখতে গিয়েছেন রাহুল এবং তা নিয়ে ‘সংকীর্ণ’ রাজনীতি করছে বিজেপি।