দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দিল্লি সিংঘু সীমান্তে চলা আন্দোলনরত কৃষক এবং তাদের সমর্থনকারীদের রোষের মুখে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি কর্পোরেট সংস্থা! রিলায়েন্স জিও টাওয়ার তাদের রোষানলে। উদ্দেশ্য একটাই যাতে এই মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার পরিষেবা ব্যাহত হয় এবং এর গ্রাহকেরা অসুবিধায় পড়েন। এই উদ্দেশ্যেই আন্দোলনরত কৃষকরা পাঞ্জাবের ১৩০০ মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুত্ সংযোগ কেটে দিলো। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র’র সূত্রানুযায়ী পাঞ্জাবে প্রায় ৯০০০ টাওয়ার রয়েছে যার মধ্যে ১৫% টাওয়ারের ইলেকট্রিক ফাইবার কেটে দেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাবের কৃষকেরা নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছেন প্রায় এক মাসের বেশি হয়ে গিয়েছে।আন্দোলনকারীরা এই নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলেছে, এর পাশাপাশি তাদের স্লোগান “বয়কট আম্বানি এবং আদানি গোষ্ঠীর পণ্য”। তবে কৃষকদের এহেন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয় শিল্পমহলের একাংশের। কারণ যদি আন্দোলনরত কৃষকরা রিলায়েন্সের পণ্য অথবা জিও সিম না নেয় অথবা পুরনো কানেকশন ছেড়ে দেয় সেটা একরকম শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কিন্তু এভাবে কোনও কোম্পানির সম্পত্তি বা ব্যবসা নষ্ট করে প্রতিবাদ জানানোটা কিছুটা প্রতিহিংসা পরায়ণতা!
উল্লেখ্য গত ২৫ ডিসেম্বর পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক হয়ে ওঠে। সেই সময়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং কৃষকদের কাছে আবেদন করেন যেন এমন কিছু না করা হয় যাতে সাধারণ জনগণের কোনও অসুবিধা হয়। কারণ এই করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইল সংযোগ খুবই প্রয়োজনীয় মাধ্যম। মুখ্যমন্ত্রীর এই আবেদনের পেছনে টাওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে অনুরোধও ছিল যাতে এমন ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে কৃষকদের নিবৃত্ত করা যায়।