দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো : প্রাক-বর্ষার মরশুম থেকেই গ্রাম বাংলার মানুষ অর্থনৈতিক ক্ষতির কবলে। এবার সেই সমস্যাতে ‘গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া’র মত অশনিসংকেত জানাচ্ছে প্রাক-বন্যা পরিস্থিতি।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য গুলোতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর সেই সম্ভাবনাকে প্রবল করে জল ছাড়া শুরু করছে ম্যাসাঞ্জোর আর তিলপাড়া জলাধার।
একে টানা বৃষ্টিতে এই রাজ্যের প্রায় সমস্থ নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে সেই সাথে তিন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে নিকটতম তিন জেলায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যদিও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। তবুও বর্ষার হালহাকীকত নিকট ভবিষ্যতে মন্দের দিকে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন সেচ দফতর।
এছাড়া এবার বর্ষার মরশুমে মালদাতেও স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিহারের প্রবল বর্ষণ। ফলে জেলার নদীগুলিতে জলস্তর বাড়ছে। জানা গিয়েছে, মহানন্দার জলস্তর ইতিমধ্যেই বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে। বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে ফুলহারের জলস্তরও। কৃষিজমিতে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়ে চাষাবাদেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যার সতর্কতা জারি না করা হলেও, এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা সেচ দফতরের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মূহুর্তে মুর্শিদাবাদ জেলার বন্যা পরিস্থিতি যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা সেচদফতর সুত্রানুযায়ী, তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ১৪ হাজার ৯০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দেওচা ব্যারেজ থেকে ১ হাজার ৮৫০ এবং বৈধড়া ব্যারেজ থেকে ৩ হাজার ১০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
এ বছর এমনিতেই স্বাভাবিকের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে তুলনামূলক নীচু জমিতে জল জমে গিয়েছে। এ ছাড়া লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে আনাজ চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামীতেও এই তিন জেলার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।