দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো :অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাকসিনের আশাব্যঞ্জক ফলাফলের কয়েকদিন বাদেই, আজ রবিবার শেষ হল ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক ‘কোভ্যাক্সিন’-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল!
‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR) এবং ন্যাশনাল ভায়রোলজি ইনস্টিটিউট (NIV)-এর গবেষকরা যৌথ ভাবে তৈরি করেছেন ভারতের প্রথম এই করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’
সম্পুর্ন ভারতীয় গবেষণা ও পদ্ধতি অনুসারে তৈরি এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর ‘কোভ্যাক্সিন’ প্রয়োগ করা হয়েছে। ANI সরকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন যে ওই ৩৭৫ জনের মধ্যে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ‘কোভ্যাক্সিন’ প্রয়োগের ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক!
‘কোভ্যাক্সিন’-এর হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রধান পর্যবেক্ষক ডঃ সবিতা বর্মা সংবাদ সংস্থা ANI -কে জানান, দেশজুড়ে চলা প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। সামনে এসেছে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই টিকা প্রয়োগের ফলাফল। কারও মধ্যেই সে ভাবে টিকার কোনও বিরূপ প্রভাব কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।
গত ১৩ জুলাই থেকে শুরু হয় ‘কোভ্যাক্সিন’-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল। জানা গিয়েছে, দু’টি পর্যায়ে মোট ১,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।
এই ট্রায়ালের জন্য হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, দিল্লি ও পাটনার AIIMS-সহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR)।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ট্রায়ালে অংশ নিতে চেয়ে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিজেদের নাম নথিভূক্ত করিয়েছেন। যদিও এই প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে সব রকম নিয়ম-কানুন মেনেই এগোচ্ছে সংস্থাগুলি।
‘কোভ্যাক্সিন’-এর সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত দিক বিস্তারিত ভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ রূপে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এটিকে বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ICMR।
কোভিড-১৯ এর সাথে লড়াই এ মানবতা যে জয়ী হবেই সেই বার্তাই কী দিতে চলেছে দেশীয় টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’? এ প্রশ্নের উত্তর দেবে সময় আর তা খুব শীঘ্রই এই আশা রাখছে দেশের অগনিত মানুষ।