দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-কে ব্রিটেনে সাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিল ব্রিটিশ সরকার। এই বিষয়ে বুধবার ব্রিটিশ ওষুধ ও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (MHRA)-এর কোভিশিল্ড-কে ব্রিটিশ নাগরিকদের উপরে প্রয়োগের অনুমোদনের প্রস্তাব দিয়েছে। আর সেই প্রস্তাব মতই ব্রিটিশ প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অঅনুমতি’র ফলে ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত এই টিকার অনুমোদন পাওয়া খুব সহজ হয়ে গেল।
উল্লেখ্য ব্রিটেনে ব্যাপক হারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদির পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করার পরই কোভিশিল্ড-এর অনুমোদন দিয়েছে MHRA। এই ব্রিটিশ সংস্থার মতে, নিরাপত্তা, মান ও কার্যকারিতা সম্পর্কে নির্ধারিত মানের সীমায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পৌঁছতে সফল হয়েছে ।
এই কোভিড ভ্যাকসিন সরকারি ছাড়পত্র পাওয়ায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উচ্ছ্বসিত। টুইটারে আজ তিনি পোস্ট করে বলেছেন, “দারুণ ভালো খবর। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাক্সিন অনুমোদন পেয়েছে। এই হল ব্রিটিশ বিজ্ঞানের জয়। এবার আমরা যত বেশি সংখ্যাক মানুষকে পারব টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনব।”
ব্রিটিশ সরকারের এই অনুমোদনে আশার আলো দেখাচ্ছে এই কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। উল্লেখ্য, এর আগেই ভারতে কোভিশিল্ড প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে ড্রাগকন্ট্রোলার জেনারেলের (DGCI) দফতরে আবেদন জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সেই অনুমোদন এবার অতি দ্রুত পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া’র প্রধান আদর পুনাওয়ালা।
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ৫০০০ কোটি কোভিশিল্ড ডোজ উৎপাদন করে ফেলেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতে ৩২০০ কোটি ডোজ তৈরি করবে ভারতীয় সংস্থাটি। প্রতি সপ্তাহে আরও বেশি সংখ্যক টিকার ডোজ তৈরি করতেও কোমর বেঁধেছে এসআইআই। এই সংস্থা প্রধান আদার পুনাওয়ালা জানুয়ারি মাসে ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য একলাফে উৎপাদন বাড়ানোর কথাও এর আগে ঘোষণা করেছিলেন। এখন দেখার কবে থেকে শুরু হচ্ছে এই টিককরণ।