দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কেন্দ্র এবং প্রতিবাদকারী কৃষক ইউনিয়নের মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনা সমাপ্ত হয়েছে। যদিও উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে তবে পরিবেশ এবং বিদ্যুৎ আইন সম্পর্কিত বিষয়ে ঐক্যমতে উপনীত হয়েছে দু পক্ষই। এখনো অবধি কৃষক নেতারা তিনটি খামার আইন বাতিল এবং এমএসপির জন্য আইনি নিশ্চয়তা প্রদানের উপর জোর দিচ্ছেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তোমর জানান, আগামী ৪’ঠা জানুয়ারি পরবর্তী দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য তিন সপ্তাহের বিরতির পর এটা ষষ্ঠ দফার আলোচনা ছিল। আজ আলোচনার পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, তিনি কৃষক নেতাদের অনুরোধ করেছেন বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুদের বাড়িতে পাঠাতে আর নতুন বছরের প্রথম দিনটি নিজেদের গ্রামে কাটাতে। কৃষক ও সরকারের মধ্যে ঐকমত্য’র দুটি বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, “প্রথম বিষয়টি ছিল পরিবেশ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ। আর দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল ইউনিয়নগুলো পারালির সাথে কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে শঙ্কা। উভয় পক্ষই কৃষকদের সাথে এই দুই বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
কৃষকদের সাথে আলোচনার জন্য সরকারের তিন সদস্যের দলের অংশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম প্রকাশ বলেছেন, “কৃষকদের সাথে আজকের বৈঠক নির্ণায়ক হবে”। “আমরা চাই তারা তাদের বাড়িতে নববর্ষ উদযাপন করুক, তাদের পরিবারের সাথে এবং আমরা খোলা হৃদয় এবং মন নিয়ে সভায় যাচ্ছি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর উদ্ধৃতি দিয়ে সোম প্রকাশ বলেন, সরকার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবে যাতে মানুষ তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। কেন্দ্র পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ব্যবস্থা বাতিল করার কোন ইচ্ছা তাদের নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জোর দিয়ে বলেছেন যে কোন “মা কা লাল (কেউ) কৃষকদের কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
কিন্তু মঙ্গলবার চিঠিতে কৃষক ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্বকারী ছাতা সংগঠন সমঝোতা কৃষক মোর্চা বলেছে, তিনটি বিতর্কিত আইন বাতিল এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) উপর একটি আইনি নিশ্চয়তা অবশ্যই এজেন্ডার অংশ হতে হবে। মোর্চা আরো বলেছে যে এই এজেন্ডায় কৃষকদের শাস্তির বিধান থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ও সংলগ্ন অঞ্চল অধ্যাদেশ, ২০২০-এর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশনে সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।