দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:নকশালদের গুহাতেই লুকিয়ে রয়েছে করোনার মোক্ষম টোটকা!একদিকে যখন দেশজুড়ে চলছে করোনা টীকার মহড়া অন্য দিকে তখনই করোনার পথ্য হিসাবে দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে ছত্তিশগড়ের বস্তার জঙ্গলের আদিবাসীদের অন্যতম প্রিয় খাদ্য লাল পিঁপড়ের চাটনি।
সম্প্রতি ওড়িশা হাইকোর্ট আয়ুষ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে তিনমাসের মধ্যে গবেষণা করে জানাতে হবে করোনা চিকিৎসায় পথ্য হিসাবে এই লাল পিঁপড়ের চাটনি কতটা কার্যকরী।
আরো পড়ুন:আরএসএস এজেন্ট বলে দাবি করে কাশ্মীরের গয়না ব্যবসায়ীকে হত্যা করল জঙ্গিরা
ওড়িশার বারিপদার ইঞ্জিনিয়ার তথা রিসার্চ স্কলার ন্যায়ধর পাধিয়াল ওড়িশা হাইকোর্টে জনস্বার্থ পিটিশন পেশ করে দাবি জানান, তিনি করোনা মোকাবিলায় লাল পিঁপড়ের চাটনির কার্যকারিতা,এবং ক্ষমতা নিয়ে সমস্ত তথ্য দিয়ে আয়ূষ মন্ত্রকের কাছে গবেষণার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি আয়ূষমন্ত্রক।তাই তিনি এবিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে পিটিশন দাখিল করেন।
এই মামলায় বিচারপতি বি আর সারঙ্গি এবং ডক্টর প্রমথ পাটনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে জানান “মামলার যোগ্যতা সম্পর্কে কোনও মতামত প্রকাশ না করেই এই আদালত রিট পিটিশন নিষ্পত্তি করছে এবং আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের মহাপরিচালককে আবেদনকারী কর্তৃক দায়ের করা মামলায় তিন মাসের মধ্যে যথাযথ আদেশ প্রদান করার নির্দেশ দিচ্ছে।”
জানা গেছে আবেদনকারী ন্যায়ধর পাধিয়াল গত ২৩ জুন সিএসআইআর এবং জুলাই মাসে আয়ুশ মন্ত্রকের কাছে তাঁর প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন আদিবাসী অধ্যুষিত এই লাল পিঁপড়ের চাটনিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সহ ঔষধি গুণ রয়েছে যা হজম শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে।এছাড়া এই চাটনিতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং জিংক রয়েছে, যা ইমিউন সিস্টেমের জন্যও উপকারী।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে পৃথিবীর বিখ্যাত কুক গর্ডন র্যামসের হাত ধরেই আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেছিল লাল পিঁপড়ের এই সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর চাটনি।ছত্তিসগড়ের বস্তারের জঙ্গলে শালগাছে কাঠ পিঁপড়ের মত দেখতে লাল রঙের এক প্রজাতির পিঁপড়ে পাওয়া যায়। আদিবাসীরা এই পিঁপড়ের সাথেই নুন, লঙ্কা, আদা আর সামান্য মিষ্টি দিয়ে বানিয়ে ফেলেন চাটনি। পিঁপড়ের ফরমিক অ্যাসিডের টক, আর ঝাল মিষ্টি সহযোগে এই চাটনি হয়ে ওঠে চটপটা।পুষ্টি গুণে ভরপুর এই চাটনি কে নিজের তথ্যচিত্রেও স্থান দিয়েছিলেন গর্ডন র্যামসে।তবে আদিবাসী অধ্যুষিত এই চাটনি আদতে করোনা সংক্রমণের জন্য কতটা কার্যকরী তা এখন গবেষণা সাপেক্ষ।